ছোট্ট ছোট্ট খুদেরাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। তারাই আগামীদিনের পৃথিবীর গড়ে তুলতে চলেছে। তাই তাদের বড় হয়ে ওঠাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, শিশুদের কীভাবে মানুষ করছি, তার উপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যত চেহারা। আমাদের দেশে তাঁর জন্মদিনে পালিত হয় শিশু দিবস। তবে শুরুর দিকে দিনটি ২০ নভেম্বর পালন করা হত। ২০ নভেম্বর এখনও সারা বিশ্বে শিশু দিবস পালিত হয়। কিন্তু এই দিনটি পালনের কারণ 🦋কী? এই প্রতিবেদনে থকছে তারই খুঁটিনাটি তথ্য।
কবে থেকে শুরু?
১৯৫৪ সালে প্রথম জাতিসংঘ শিশু দিবস পালন করা শুরু ꦫকরে। শুরু থেকেই দিনটি ২০ নভেম্বর পালন করা হয়। ১৯৫৯ সালে এই দিনে জাতিসংঘ কনভেনশন অন রাইট অফ দ্য চাইল্ড প্রতিষ্ঠা করে। এই বিশেষ সংগঠনটি সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু ও টিনএজারদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। ১৯৫৯ সালের পর থেকে দিন🔴টি এই সংগঠনের জন্মবার্ষিকী হিসেবেও পালন করা শুরু হয়।
দিনের সঙ্গে সপ্তাহ
শুধুই একটি দিন শিশুদের জন্য পালন করা হয় তা নয়। খুদে শিশুদের নানা ব্যাপারে সারা বিশ্বকে সচেতন করার জন্য একটি সপ্তাহও ঠিক করা হয়েছে🦂। এই বছর ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর সেই সপ্ত༺াহ পালন করা হচ্ছে।
এই বছরের থিম কী?
প্রতি বছরই জাতি🐻সংঘ কোনও না কোনও থিম ঠিক করে। জাতিসংঘের বিশেষ সংগঠন ইউনিসেফ বছরভর বিশ্ব জুড়ে শিশুদের জন্য নানা ♔জায়গায় কাজ করে। তারাই এই বছরের থিম ঠিক করেছে। ইউনিসেফের এই বছরের থিম হল ‘প্রতিটি শিশুর অন্তর্ভুক্তি’।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক শিশুই অবহেলায় রয়েছে। ঠিকমত খাদ্য, বাসস্থান ও পড়াশোনার সুযোগ অনেকে🐎ই পায় না। তাদের কথা ভেবেই এমন থিম নির্বাচন। এই থিমের মূল বক্তব্য সব শিশুকেই তাদের মৌলিক অধিকারের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা যেন তাদের সুস্থ জীবনযাপন করতে প🧸ারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ব শিশু সপ্তাহের থিমও সেভাবেই বেছে নিয়েছে ইউনিসেফ। এই বছরের সপ্তাহট༺ির নাম রাখা হয়েছে শিশু অধিকার সপ্তাহ। ২০২২ সালে বিভিন্ন দেশের সংঘাতের কারণে ৫৮০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের কথা জানিয়েও সরব হয়েছে ইউনিসেফ। প্রত্যেকটি শিশুর সুস্থ জীবনের অধিকা⛄র সুনিশ্চিত করাটাই বিশ্ব শিশু দিবসের লক্ষ্য।