বিগত বেশ কয়েক বছরে হার্ট অ্যাটাকে যে ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ভারতবাসী। কিন্তু কেন ভারতীয়দের মধ্যেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? শুধুই কী শারীরিক সমস্যা নাকি এর পেছনে রয়ে🍷ছে অন্য কোনও কারণ?
গবেষণা থেকে জান♎া গিয়েছে, হৃদরোগের মূল কারণগুলি হল অতিরিক্ত ধূমপান, অবসাদ, অস্বাস্থ্যকর জীবন, মধুমেয় রোগ, শরীরচর্চা না করা এবং অতিরিক্ত চিন্তা। এই হার্ট অ্যাটাক আরও বেশি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে কারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া এই সমস্যা আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়।
(আরো পড়ুন: ভরসা রাখুন যোগাসনের ওপর, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে জানুন যোগাসনে🅠র ১০টি উপকারিতা)
পাশ্চাত্য দেশে কেন হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা কম?
পাশ্চাত্য দেশের মানুষের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অথবা সমস্ত রকম ক্লিনিক্যালি পরীক্ষার প্রবণতা দেখা যায়। যেহেতু একটি সময় অন্তর অন্তর তার💫া চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেন, তাই হৃদরোগের সমস্যা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে না। এক কথায়, পাশ্চাত্য দেশের মানুষ নিজের শরীর নিয়ে ভীষণভাবে সচেতন তাই কোনও রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে না।
ভারতীয় মহিলারা কেন বেশি আক্রান্ত হন হার্ট অ্যাটাকে?
প্রথমত, মহিলাদের শরীরে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি একেবারে অন্যরকম হয়। পিঠে অথবা কোমরে ব্যথা, কাঁধে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা এই সমস্ত প্রবণতা বেশি দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে। খুব স্বা☂ভাবিকভাবেই এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে মহিলারা মনে করেন ঋতুস্রাবের সমস্যা অথবা হরমোনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, নিজের শরীর নিয়ে বড্ড বেশি উদাসীন হয়ে থাকেন মহিলারা। শারীরিক যন্ত্রণা ভয়ংকর পর্যায়ে না পৌঁছলে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না মহিলারা ফলে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা মহিলাদের মধ্যে অনেক বেশি।
তব൲ে নারী হোক অথবা পুরুষ, ভারতীয়দের মধ্যে শারীরিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতার অভাবের জন্যই এইভাবে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আরো বেশি বেড়ে যায় তখন কোনও মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিস, হাই কোলেস্টেরল, হাই ব্লাড প্রেসার, হাইꦓপার টেনশনে ভোগেন।
(আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেয়ার করলেন শဣশাঙ্কাসꦓনের বিশেষ ভিডিয়ো, সেখানে ‘অন্য’ মোদী করছেন যোগাসন)
হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি সচেতনতার অভাবে বড় আকার ধারণ করে। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘাম, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে যন্ত্রণা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাকে শরণাপন্ন হন। অনেকেই এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে গ্যাসের সমস্যা ভেবে ব্যাপারটিকে পাত্তা দেয় না, ফলে পরবর্তীকালে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই স𒀰ময় থাকতে সচেতন হন এবং নিজেকে সুস্থ রাখুন।