শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে ছুটিতে গেলেন কেরালা সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক কোডিয়েরি বালাকৃষ্ণন। তাঁর পরি🔯বর্তে দায়িত্ব দেওয়া হল বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক এ বিজয়রাঘবনকে। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে দলের রাজ্য কমিটি।
ছুটি নেওয়ার আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে যতই শারীরিক সমস্যার কথা বলা হোক না ক🦋েন, বেঙ্গালুরু মাদক কেলেঙ্কারিতে ছেলে বিনীশ কোড🃏িয়েরি গ্রেফতার হওয়ার পরে রাজ্যের শাসকদলের উপরে যে অপরিসীম চাপ এসেছে, মনে করা হচ্ছে তার জেরেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বালাকৃষ্ণন।
গত ২৯ অক্টোবর বিনীশকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টোরেট এবং বর্তমানে তাঁর ঠিকানা বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহার জেল। মাককাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মহম্মদের এনসিবি-কে দেওয়া বয়ানে তাঁর নাম উল্লেখ করলে সমস্যায় পড়েন বিনীশ। অনুপের দাবি, বালাকৃ💧ষ্ণনের মেজোছেলে বিনীশ তার ব্যবসায় প্রচুর সাহায্য করেছেন। অনুপের মোবাইল ফোন কল লিস্ট ঘেঁটেও বিনীশের নাম পাওয়া গিয়েছে।
বিনীশের গ্রেফতারির পরে বাবা কোডিয়েরি বা🅠লাকৃষ্ণনকে আড়াল করতে প্রথমে সক্রিয় হয় রাজ্য সিপিআইএম। বলা হয়, সন্তানের লকাজকর্মের জন্য বাবা-মাকে দোষারোপ করা যায় না। কিন্তু এর পরে ইডি-র জেরায় ফাঁস হয়, বেঙ্গালুরু মাদকচক্রের মূল মাথা স্বয়ং বিনীশ। আড়াল থেকে তিনিই মাদক ব্যবসা চালাতেন এবং তাতে মোটা অর্থ বিনিয়োগও করেন। ক্রমে বিনীশের বিলাসবহুল জীবনযাত্রাও প্রকাশ্যে আসে।
এতে চাপে পড়ে যায় রাজ্𓂃যের শাসকদল। বিনীশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিক বৈঠ𒁃কে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন বর্ষীয়ান বাম নেতা এম ভি সি গোবিন্দন। তার পর সাফ জানিয়ে দেন, ‘ওঁর ছেলের গ্রেফতারির ব্যাপারে এর আগেই দল তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। বালাকৃষ্ণনের চিকিৎসা করানো দরকার। এই কারণে তিনি ছুটির আবেদন করেন এবং পলিটব্যুরো ও রাজ্য কমিটি তা অনুমোদন করেছে। বিষয়টি একান্তই অভ্যন্তরীণ। বাকি সব কিছু অবান্তর চিন্তাভাবনার ফসল।’