দিল্লির রাস্তায় বসে পরিযা🌳য়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তা নিয়ে রাহুলকে বেনজির আক্রমণ করলেন কেন্দꦕ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের পঞ্চম তথা শেষ দফার ঘোষণার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুতে কংগ্রেসের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ওঁরা (পরিযায়ী শ্রমিক) মন খারাপ করে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন, তখন ওঁদের সময় নষ্ট করে, ওঁদের পাশে বসে কথা বলার থেকে ভালো হবে, হেঁ♓টে ওঁদের বাচ্চা, স্যুটকেস নিয়ে কথা বলতে বলতে যাওয়া।' সেই কথা বলার সময় রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রী। শান্ত হিসেবে পরিচিত নির্মলাকে টেবিল চাপড়াতেও দেখা যায়।
তবে রাহুলকে আক্রমণ সেখানেই শেষ হয়নি। রাহুল ও কংগ্রেসকে ‘নাটকবাজ’ বলে কটাক্ষ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস তো রোজ বলে নাটকবাজ। আমি এখন ওদের শব্দই ব্যবহার করতে চাই। নাটকবাজ আপনারা? কাল যেটা হল, পরিযায়ীদের রাস্তায় যাওয়ার সময় ওঁদের পাশে বসিয়ে কথা বলা! ওটা কি (কথা বলার) সময়? উনি❀ নাটকবাজ নয় কি?' তখনও রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন নির্মলা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থায় ‘দুঃখিত’ অর্থমন্ত্রী উত্তরের শেষভাগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে করজোড়ে প্রার্থনা ক♕রলেও তা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিল। সীতারামন বলেন, ‘হাত জোড় করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে বলছি, আমাদের শ্রমিকদের🧸 সঙ্গে থাকুন। দায়িত্বপূর্ণভাবে কথা বলুন। আমি দুঃখিত।’
কিন্তু এরকম বেনজির আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন কেন অর্থমন্ত্রী? রাজনৈতিক মহলের মতে, পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা সরকারের উপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে। এরইমধ্যে শনিবার রাস্তায় বেরিয়ে শ্রমিকদের 🀅সঙ্গে কথা বলায় বিজেপি সরকারের উপর চাপটা আরও বৃদ্ধি পায়। রাহুল তাঁদের খাবারের বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। বাড়ি পৌঁছানোর গাড়িও বন্দোবস্ত করেছেন বলেও জানান শ্রমিকরা। ফলে বিজেপি আরও ব্যাকফুটে পড়ে যায়। তাই ‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস🧔্ট ডিফেন্স’ মেনে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটলেন অর্থমন্ত্রী। আর বিরোধীদের আক্রমণ যে কতটা বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলেছে, অর্থমন্ত্রীর চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক মেজাজ তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।