নাইজেরিয়ায় ফের ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩ ডজনেরও বেশি মানুষ। নিহত আহতদের মধ্যে রয়েছেন পুরুষ, মহিলা থেকে শুরু করে শিশু। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যের গোওজা শহরে পর পর তিনটি জায়গায় বিস🦹্ফোরণ ঘটে। তারপরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় মাঝ নদীতে ডুবে গেল 𝕴যাত্রীবোঝাই নৌকা, মৃত ১৮, নিখোঁজ কমপক্ষে ৭০ জন
জানা গিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩:৪৫ মিনিট নাগাদ শহরের ৩টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে। এর মধ্যে প্রথমে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আততায়ীরা। পরে একটি সরকারি হাসপাতালে ও শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার পরে স্টেট এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির ডিজি বারকিন্দো মহম্মদ সাইদু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।🙈
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল লক্ষ্য করে যে হামলা চালানো হয়েছে সেটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। বাকি দুটি হামলাও ཧএকই ধরনের কিনা সে বিষয়ে এখꩵনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এদিনের হামলার ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলটিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের আধিপত্য রয়েছে। সেখানে বারংবার তারা হামলা চালাচ্ছে। যদিও এদিনের হামলার ঘটনায় এই গোষ্ঠী জড়িত কি না তা নিয়ে এখনও কোনও দায় স্বীকার করেনি বোকো হারাম। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে গোওজা দখল করে নিয়েছিল এই জঙ্গিরা। পরে ২০১৫ সালে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পুনরায় সেই জায়গা জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থেকে উদ্ধার করে। তারপর থেকেই এই অঞ্চলে প্রায়ই বোম💧া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে চলেছে। ত🦋াছাড়া, শহরের বাইরে জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে যাওয়া মহিলাদের প্রায়ই অপহরণ করে থাকে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। এর আগে বহু শিশুকেও তারা অপহরণ করেছে। আপাতত এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনায় কারা জড়িত তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।