৯ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই নাবালকের বিরুদ্ধে। এমনকী তার ভিডিয়ো করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাউকে বললেই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের এই অভিযোগকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নির্যাতিতা কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। মেয়েটিকে মেডিক্য়াল পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?কিশোরীর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি হয়। মেয়েটি বাড়িতে একলাই ছিল। সেই সময় প্রতিবেশী দুই বালক তাদের বাড়িতে আসে। এরপর তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এদিকে সেই নাবালিকা আপত্তি জানালে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।এদিকে অভিযুক্ত কিশোর মোবাইলে গোটা ঘটনা রেকর্ড করে। এরপর হুমকি দেয় কাউকে বলে দিলে ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। অভিযোগপত্রে এমনটাই উল্লেখ করা ছিল। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ওই নাবালকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কেন দুজন নাবালকের মধ্য়ে এই প্রবনতা দেখা দিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এভাবে কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবনতার জন্ম হলে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। শুধু এভাবে নির্যাতন করার অভিযোগই নয়, ওই নাবালকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বলেও অভিযোগ।এই ঘটনাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ওই কিশোরের বিরুদ্ধে যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেটাও উদ্বেগের। তবে কি সোশ্যাল মিডিয়ার বিষ ঢুকে গিয়েছে ওই কিশোরদের মনে?তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কিশোরীকে ধর্ষণ করে কুয়োয় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর তাকে একটি নলকূপের মধ্য়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের মউ জেলার ঘটনা।যোগী রাজ্য়ের এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশজুড়ে।পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই কিশোরী আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সেই সময়ই আচমকা তাকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপর তাকে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর তার হাত বেঁধে, মুখে কাপড় গুজে একটি নলকূপের মধ্য়ে ফেলে দেওয়া হয়। যাতে সে চিৎকার করতে না পারে সেকারণে এভাবে হাত বেঁধে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।পরে ওই কিশোরীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছিলেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তার বাবা এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন।