চারিদিকে যখন ধর্ষণ, খুনের মতো বিভিন্ন ধরনের জঘন্য অপরাধের ঘটনা ঘটছে, ঠিক সেই মুহূর্তে একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনা সামনে এল রাজস্থানে। ১৪ মাস আগে এক শিশুকে অপহরণ করেছিল এক ব্যক্তি। পুলিশ অবশেষে অপহরণকারীর খোঁজ পেয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে। কিন্তু, পুলিশ অপহরণকারীর কাছ থেকে শিশুকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে তুলে দিতে গেলেই নাটকীয় মোড় নেয়। কোনওভাবেই অপহরণকারীর কাছ থেকে আলাদা হতে চাইছিল না শিশুটি। বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে সে🌱 অপহরণকারীকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে। তা দেখে অপহরণকারীও নিজেকে সামলাতে পারেননি। তিনিও কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। বাস্তব জীবনে এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। আবেগঘন সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে, যা সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:ছেলেধরা গুজবে পেট্রাপোলে ভবꦇঘুরেকে মারধর, 🔯কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৬ জনকে ধরল পুলিশ
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, অপহরণকারীর নাম তনুজ চাহার। তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেড কনস্টেবল ছিলেন। গত বছরের ১৪ জুন তনুজ ৫ সহযোগীর সঙ্গে জয়পুরের সাঙ্গানার সদর এলাকার বাড়ি থেকে পৃথ্বী নামের ওই শিশুকে অপহরণ করেছিল। সেই সময় তার বয়স ছিল ১১ মাস। সেই ঘটনায় শিশুর বাবা মা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারি এড়াতে ঘন ঘন চেহারা পরিবর্তন করেছিল🎐েন তনুজ। তিনি ফোনের ব্যবহারও এড়িয়ে চলতেন। তবে গত কয়েক মাস ধরে সাধুর ছদ্মবেশে বৃন্দাবনে যমুনা নদীর তীরে একটি কুঁড়েঘরে থাকতে শুরু করেছিলেন তনুজ। তিনি নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য এবং সন্ন্যাসীর রূপ দিতে দাড়িও বড় করেছিলেন।