এক কেজি, দুই কেজি নয়। মোট ২৭০০ কেজি মাংস উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় দেশের প্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালু🔥রুতে। বেঙ্গালুরু সিটি স্টেশনে ২৭০০ কেজি মাংস ঘিরে প্রথমেই প্রশ্ন ওঠে, ওই মাংস আসলে কার? বিতর্কের পারদ চড়তে থা꧃কে। প্রশ্ন ওঠে এই মাংস কি কুকুরের? এরপরই মুখ খোলে প্রশাসন।
বেঙ্গালুরুর খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনারেটের অফিসাররা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ উদ্ধার হওয়া মাংস ছাগলের। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, এগুলি কুকুরের মাংস নয়। এর আগে, প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কি বেঙ্গালুরু সিটি স্টেশন দিয়ে কুকুরের মাংস পাচার হয়? যার উত্তর মিলে গিয়েছে। শুক্রবারই দেশের প্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুতে ৯০ টি ইস্যুলেটেড বক্স উদ্ধার হয়েছে সিটি স্টেশনে। সেখানে মোট ২৭০০ কেজি🦹 মাংস ছিল। জানা গিয়েছে, জয়পুর থেকে আসা এক ট্রেন এই মাংস নেমেছিল বেঙ্গালুরুতে। এরপরই বেঙ্গালুরু স্টেশ🗹ন সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদে মুখর হন কয়েকজন। তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। আশপাশের এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে উদ্ধার হওয়া মাংস নিয়ে।অভিযোগ, এই ২৭০০ কেজি উদ্ধার হওয়া মাংস, আসলে কুকুরের মাংস। যদিও প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, ওই মাংস আসলে ছাগলের। অভিযোগ উঠছে, কুকুরের মাংস বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বিক্রি হয়। আর তার পার্সেল দূর দূরান্ত থেকে এই বাগিচা শহরে এসে পৌঁছায়।
এদিকে, পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের হয়েছে। মাংসের মধ্যে কুকুরের মাংস মিশিয়ে পরিবহন করার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। দ্বিতীয় এফআইআর দায়ের হয়েছে গোরক্ষক পুনীত কেরেহাল্লির বিরুদ্ধে। সেখানে অভিಌযোগ, খাদ্যের গুণমান বিষয়ক দফতরের কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার। এছাড়াও পুনীত ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে♕ বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, ফুড সেফটি কমিশনার সাফ জানান,'ওই মাংস কুকুরের নয়। বরং একটি বিশেষ ধরনের ছাগলের। এটি সিরোহি ছাগল। এ ছাগল, রাজস্থান আর গুজরাটের কছ-ভূজে পাওয়া যায়।' তিনি জানান, কুকুরের মোতই ওই ছাগলেরও লেজ একটু বড়। গায়ে রয়েছে দাগ। তাই সেই ছাগলের সঙ্গে অনেকে কুকুরকে গুলিয়ে ফেলেন।