বেশিরভাগ চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীরই পেনশন নেই। ফলে ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই সঞ্চয় করতে হবে। ৩০ বছর বয়স থেকেই ধীরে ধীরে অবসরকালীন সম্পদ গড়ে তুলতে হবে। অল্প অল্প করেই মাসিক বিনিয়োগ করা শুরু করতে হবে।SEBI রেজিস্টার্ড ট্যাক্স এবং বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি জানান, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাইয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ৩০ বছর বাদে অবসর-পরবর্তী ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ২,৯০,০০০ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। ৬ শতাংশ গড় মূল্যস্ফীতির কথা মাথায় রেখে এই হিসাব। সুতরাং, একটি সুস্পষ্ট বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।অপটিমা মানি ম্যানেজারস-এর এমডি এবং সিইও পঙ্কজ মাথপাল বলেন, অবসর-পরবর্তী চাহিদা মেটাতে ভবিষ্যতে প্রায় ৬.৭৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। ভবিষ্যতের জন্য কোনও কনজারভেটিভ ব্যালেন্সড হাইব্রিড তহবিলে বিনিয়োগ করে SWP (সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান) বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই তহবিলে বছরে প্রায় ৭-৮ শতাংশ রিটার্ন পাবেন। SBI কনজারভেটিভ হাইব্রিড ফান্ড, ICICI প্রুডেনশিয়াল ইক্যুইটি এবং ডেট ফান্ড এবং কোটাক ডেট হাইব্রিড ফান্ডের মতো বিনিয়োগের অপশনগুলি খতিয়ে দেখতে পারেন।আগামী ৩০ বছরে ৬.৭৫ কোটি টাকা জমা করব কী করে?এ বিষয়ে ট্রান্সসেন্ড ক্যাপিটালের কার্তিক জাভেরি বলেন, ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডগুলিই সবচেয়ে ভাল অপশন। দীর্ঘ মেয়াদে প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাবেন। আমি বলব, প্রাথমিক পর্যায়ে মাসিক এসআইপি সর্বনিম্নই রাখুন। পরে, বার্ষিক আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাসিক এসআইপি বাড়াতে বাড়াতে ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করুন। SIP ক্যালকুলেটরের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩০,০০০ টাকার মাসিক SIP দিয়ে শুরু করতে হবে। সেটা করলেই তবে বিনিয়োগকারী ৩০ বছরে ৬.৭৫ কোটি টাকা জমাতে পারবেন।