অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। অযোধ্যার ভব্য মন্দিরের গর্ভগৃহে। ২৮ হাজার বর্গফুটের একটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ১৬১ ফুট উচ্চতায় দাঁড়ানো এই নাগরা রীতিতে তৈরী এই মন্দির। নকশা কেটেছেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। কিন্তু এই মন্দিরে যজমানের আগে ১১ দিন সংযম তথা ব্রত পালন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি অযোধ্যায় রাম মন্দির এই প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঠিক দুদিন আগে তিনি দক্ষিণ ভারতের সফরে যান। মূলত একগুচ্ছ সারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কেরল ও তামিলনাড়ুর এই সফরে। তবে সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের ফাঁকে তামিলনাড়ুর একাধিক মন্দিরে পরিভ্রমণ ও করেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের মতে, রামায়ণের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এমন মন্দিরগুলি পরিভ্রমণ করেন তিনি। এমনকি রামেশ্বরমে শ্রী আরুলমিগু রামানাখস্বামী মন্দিরে আয়োজিত বিভিন্ন ভাষায় রামায়ণ পাঠেও অংশ নেন প্রধানমন্ত🐻্রী নরেন্দ্র মোদী। যা অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
- তিনি রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরেও যান।
- সমুদ্র স্নান সেরে ভিজে পোশাকে রামানাথস্বামী মন্দির পরিক্রমায় প্রধানমন্ত্রী।
- রামেশ্বরমে শ্রী আরুলমিগু রামানাথস্বামী মন্দিরে আয়োজিত বিভিন্ন ভাষায় রামায়ণ পাঠেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী৷ তামিলভূমের ঐতিহ্যের পোশাক ছিল প্রধানমন্ত্রীর পরনে।
- বিশেষ পুজো-পাঠেও অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার কোথানদারামস্বামী মন্দির দর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী ৷
- তারপর অরিকল মুনাইয়ের সমুদ্র সৈকতে যান প্রধানমন্ত্রী ৷ রামসেতু নির্মাণের সূচনাস্থলে প্রাণায়াম সারেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি দু-দিনের সফরে তামিলনাড়ু যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০ তারিখ তামিলনাড়ু পৌঁছেই সকাল ১১টা নাগাদ তিনি তিরুচিরাপল্লির শ্রী রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে যান। এই মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ বিষ্ণু। বৈষ্ণব মতে, শ্রীরামকে বিষ্ণুর অবতার মানা হয়। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে এই মন্দিরের বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই মন্দিরে রামায়ণ পাঠ-সহ বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই রামায়ণ পাঠ শুনেন প্র🐲ধানমন্ত্রী।
এরপর দুপুর ২টো নাগাদ তিনি রামেশ্বরমে যান। সেখানে শ্রী আরুলমিগু রামানাথস্বামী মন্দিরে দর্শন করেন এবং পুজো দেন। এই মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ শিব। কথিত আছে, রামচন্দ্র ও সীতা এই শিবলঙ্গের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মন্দিরটিকে দেশের চার ধাম ও ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে এটি একটি বলে মনে করা হয়। স্বাভাবিকভাবে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রামেশ্বরমের এই মন্দিরে বিশেষ ভজন, রামায়ণ পাঠের আয়োজন করা হয়। এই মন্দিরে রাম মন্দির উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে থেকে তেলুগু, মালায়ালাম ও মারাঠি ভাষায় রামায়ণ পাঠের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর বাংলা-সহ ৮টি ভাষায় রামের অযোধ্যায় ফিরে আসার কা⛎হিনী বর্ণনা করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপর সন্ধ্যায় এই মন্দিরে আয়োজিত ভজন সন্ধ্যা অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আগে মোদীর দক্ষিণ ভারতের মন্দির এই পরিদর্শন🍌 যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশিষ্টদের একাংশের৷