প্রতি বছরের মতো এবারও শ্রাবণে কাঁওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে। আর সেই যাত্রায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হাই টেনশন তারের সংস্পর্শে এসে ঝলসে গেলেন ৯ জন কাঁওয়ার যাত্রী। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের হাজীপুর শিল্প থানার অন্তর্গত সুলতানপুর গ্রামে। কাঁওয়ার যাত্রীরা সোনাপুরের বাবা হরিহরনাথ মন্দিরে জলাভিষেক করতে একটি ট্রলিতে ডিজে বক্স নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হাই টেনশন বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে ট্রলিটি। তাতেই এই ভয🦄়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহ🍰তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঁওয়ার যাত্রায় খাবারের দোকানে নেমপ্লেট ইস্যুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহা🔯🉐ল SCতে
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে ট্রলিতে থাকা সমস্ত কাঁওয়ার যাত্রীরা পহেলেজাতে গঙ্গা জল ভর্তি করার পর ফিরছিলেন। তারা সোনেপুরের বাবা হরিহরনাথ মন্দিরে জলাভিষেক করতে যাচ্ছিলেন। তখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।মৃতদের নাম হল- রবি কুমার, রাজা কুমার, নবীন কুমার, অমরেশ কুমার, অশোক কুমার, চন্দন কুমার, কালু কুমার এবং আশিস কুমার। এছাড়াও মৃতদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ৮ জনের মৃত্যু হয়। 𓂃পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে হাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
এদিকে, অন্য চারজন আহতকে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সদরের এসডিপিও ওমপ্রকাশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকলেই একটি ট্রলিতে ডিজে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ১১ হাজার ভোল্ট তারের সংস্পর্শে চলে আসে ট্রলিটি। তারফলে ৯ জন মারা গিয়েছেন এবং ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং গ্রামের বাসিন্দা মধুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ট্রলিটি হরিহরনাথের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ট্রলিতে অনেক কাঁওয়ার যাত্রী ছিলেন। মৃতের 𝕴সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে গাফিলতির ဣঅভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগ, ঘটনার সময় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করা হলেও বিদ্যুতের লাইন কাটা হয়নি। দুর্ঘটনার আধ ঘণ্টা পর লাইন কাটা হয়েছিল। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।