দেশের দুর্নীতির ইতিহাসে সবচ𓂃েয়ে বড় কাণ্ড হিসাবে উঠে এসেছে এবিজি শিপইয়ার্ড ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। ২৮ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার দুর্নীতি কাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে এই মামলায়। উল্লেখ্য, যে সময়কালে এই দুর্নীতি ঘটে, তখন কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার আর গুজরাতে তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০০৭ সালের এই ঘটনায় এবিজি শিপইয়ার্ড সংস্থাকে কম দামে জম🔜ি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন ওঠে কেন এই ব্যাঙ্ক দুর্নীতির কেস ফাইল করতে এত দেরি হল সিবিআইয়ের? এর জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, '১০০ টিরও বেশি হাইভ্যালু ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলা সহজে রেজিস্টার করা যায়নি বেশ কয়েকটি রাজ্যের সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহারের জন্য।' যে সমস্ত রাজ্য এই সম্মতি প্রত্যাহারে ছিল তারা হল, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ,কেরল,মিজোরাম। ♔এদের মধ্যে মিজোরাম বাদে বাকি সমস্ত রাজ্যেই রয়েছে বিজেপির বিরোধী সরকার। আর এটিই ছিল এই মামলা ফাইল করার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। জানাচ্ছে সিবিআই। এদিকে, নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতে এতবড় দুর্নীতি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অভিযোগ রয়েছে, এবিজি শিপইয়ার্ডকে সেই সময় অর্ধ✤েক দামে বেআইনিভাবে ১.২১ লাখ স্কোয়ার মিটার জমি দেয় গুজরাত সরকার। সেবছর গুজরাত বিধানসভায় দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়। সেসময় জমির দাম যেখানে প্রতি স্কোয়ার ফুটে যেখানে ১৪০০ টাকা ছিল, সেখানে এবিজিকে জমি ৭০০ টাকা স্কোয়ারফুটে দেয় গুজরাত সরকার। এতে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতের কোষাগারে ক্ষতি হয় ৮.৪৬ কোটি টাকার। এই নিয়েই প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের মনমোহন সরকারের জমানা ছিল তখনই ঘটে যায় এতবড় জালিয়াতি।
এদিকে সিবিআই বলছে, এসবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী অলাভজনক সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২২, ৮৪২ কোটি টাকা। আর র বেশিরভাগ বিতরণই হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। এতে আইসিআইসিআইয়ের নেতৃত্বে থাকা ২৮ টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম চলেছে, যাতে শামিল ছিল এসবিআইও। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবিজি শিপইয়ার্ড ২০০১ সাল থেকেই আইসিআইসিআই, আইডিবিআই, এসবিআইয়ের কনসর্টিয়াম থেকে পর রর অর্থ ঋণ হিসাবে নিয়েছে। ২০১৩ সালে সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এনপিএ হয়ে যায়। তখন ছিল ইউপিএ সরকারের আমল। এরপর অ্যাকাউন্ট ফের তৈরি হয়, আর তখনও ছিলဣ কেন্দ্রে মনমোহন সিংয়ের𓆏 সরকার। উল্লেখ্য, রবিবার এবিজি শিপইয়ার্জের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঋষিকেশ আগারওয়ালের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। এছাড়াও সুরাট, ভারুচ, মুম্বই ,পুনেতে এই মামলায় ১৩ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এই তদন্তকারী সংস্থা।