এবার সংসদে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গো💮পাধ্য়ায়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে অভিজিৎকে সতর্ক করলে⭕ন সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
তার আগে জেনে নেওয়া যাক ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, বুধবার বাজেট 📖সভায় প্রথমবার বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিকে সেই সময় বিরোধী শিবির থেকে নানা মন্তব্য উড়ে আসতে থাকে। এরপরই আর স্থির থাকতে পারেননি অভিজিৎ। রীতিমতো ধমক দেওয়া শুরু করেন তিনি। আচমকাই তিনি স্টুপিড বলে উল্লেখ করেন। এমনকী রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ভগবান শিবের আশ্রয় না নিয়ে রাহুল গান্ধীর উচিত মানুষের আশ্রয় নেওয়া। কিন্তু স্টুপিড শব্দ বাংলায় তর্জমা করলে যে নির্বো🌞ধ বলে উল্লেখ করা যায় সেই শব্দ কি আদৌ বলা যায় সংসদে?এদিকে অভিজিতের এই মন্তব্য শোনার পরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন কংগ্রেসের সাংসদরা। অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ পালটা অভিজিৎকে নিশানা করেন। অভিজিৎ বলেন, গডসেও জানেন না। 𒆙গান্ধীও না। নির্বোধের মতো কথা বলবেন না। এরপরই আরও ক্ষুব্ধ হয়ে যান কংগ্রেস সাংসদরা। কেন এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদরা।
তবে কিরেন রিজিজু এই ধরনের মন্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করেননি। কিরেন রিজিজু বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আমি চাইলে বিজেপি সাংসদকে আড়াল করতে পারতাম। তাঁর পক্ষ নিয়ে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু সংসদের নিয়ম সকলকে মানতে হবে। স্পিকার রয়েছেন। তিনি চাইলে কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারেন। তবে কিরেন রিজিজু সরাসরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নাম উল্লেখ করেননি।&nb𓆏sp;
একটা সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই সময় তাঁর একাধিক রায় কার্যত নজির হয়ে রয়েছে। চাকরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা মামলায় তিনি একের পর এক রায় দিতেন। এরপর তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। এরপর তিনি ভোটে লড়ার টিকিটও পেয়ে যান। তমলুক আসন থেকে জিতেছেন অভিজিৎ। কিন্তু বিজেপির মূলত স্রোতের রাজনীতিতে তাঁকে বিশেষ সক্রিয় হতে দেখা যায় না। সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে এবার সংসদে অসংসদীয় শব্💖দ ব্যবহারের অভিযোগ। কিন্তু বিজেপির অপর সাংসদ তাঁর পাশে দাঁড়ালেন না। তিনি কার্যত তাঁকে নাম না করে সতর্কতার বার্তা দিলেন।