বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতারির ঘটনায় আজও উত্তজনা ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের জায়গায় জায়গায়। অনেক হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি জারি করেছে। অপরদিকে বিজেপির নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে হুঁশিয়রি দিয়ে চলেছেন। শুভেন্দু অধিকারী পেট্রপোল সীমান্ত অবরোধের হুমকি দিয়েছেন। এই আবহে এবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই নিয়ে অভিষেক আজ সংসদ চত্বরে টিভি৯ বাংলা চ্যানেলকে বলেন, 'অন্য দেশের বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক না। তবে যে ঘটনাটা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভগ্যজনক।' সেই ভিডিয়ো ক্লিপিং আবার তৃণমূল কংগ্রেস তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে পরে তা ডিলিটও করে দেয়। সেই পোস্টে তৃণমূল লিখেছিল, 'বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন।' (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে ভারতের 'ধমকের' জবাব বাংলাদেশের, দিল্লিকে ঢা🐈কা বলল…)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সনাতদীনের বিচার চাই, চিন্ময় প্রভু ইস্যুত🍸 ইউনুসকে 🦩কড়া বার্তা ইসকনের
এর আগে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, 'বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি। বিগত দিনে বাংলাদেশের চরমপন্থীরা হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়ে গিয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাশাপাশি চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরকে অপবিত্র করার একাধিক অভিযোগও উঠেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে যখন এই ঘটনার অপরাধীরা মুক্ত রয়ে গিয়েছে। তবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি উপস্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা শ্রী দাসের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারী সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়টিও উদ্বেগের সাথে নোট করছি।' (আরও পড়ুন: 'ভেঙে পড়ছে বাংলাদেশ...' বললেন সাধগু🍸রু, চিন্ময় প্রভুর 🐷পাশে ধর্মগুরু রবি শঙ্করও)
এদিকে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। তিনি এই নিয়ে লিখেছেন, আজ দিল্লির দফতরে ইসকনের বার্তা বিভাগের আধিকারিক যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দুদের দুরবস্থা ও চিন্ময় প্রভুর অবৈধ গ্রেফতারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুবিচার ও ধর্মাচরণের স্বাধীনতার জন্য গোটা বিশ্বের অবিলম্বে একজোট হওয়া উচিত। (আরও পড়ুন: 'পার্থ জামিন পেলে কী সমস্যা?𓆉' সাফল্যের হার নিয়ে প্রশ্ন করে ED-কে ভ🤡র্ৎসনা SC-র)
আরও পড়ুন: প্রয়াগ চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার বাবা-পুত্র, ২ ডিরেক্টরের থেকে কী জানতে🐼 চায় ED?
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন বর্তমানে 'বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের' ব্যানারে আন্দোলন করছে। সেই জোটের মুখপাত্র করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। (আরও পড়ুন: আমেরিকায় মা🐼মলার রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে কত টাকা হারিয়েছে আদানি?)
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে মামলায় অভিযোগ প্﷽রমাণিত হলে গৌতমের কি🐎 জেল হবে? জানাল আদানি গৌষ্ঠী
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে অভিযোগ, চিন্ময় প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। ধৃত হিন্দু নেতাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনার জেরে বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘুদের মধ্য়ে শোরগোল পড়ে যায়। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে। এদিকে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার হিন্দু। এরই মধ্যে প্রতিবাদী বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। (আরও পড়ুন: আর কয়েক সপ্তাহ পরেই সুপ্রিম কোর্টে উঠবে ডিএ মামলা, কজলিস🌳্ট মিলবে🧸 কবে?)
আরও পড়ুন: আ🌟মেরিকায় NIH ডিরেক্টর পদে বসবেন কলকাꦗতায় জন্মানো জয় ভট্টাচার্য, ঘোষণা ট্রাম্পের
২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জা🍷নাতে। সেই জনতা♉র ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। এদিকে বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬।