রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে বিষ দেওয়া হয়েছে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল ওয়াল স্ট্রিট ডার্নালের একটি প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচও এই বৈঠকে ছিলেন এবং বৈঠকের সময় সম্ভাব্🌞য বিষক্রিয়াতে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেওয়া ইউক্রেনীয়রাও অসুস্থ বোধ করেন বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে মস্কোর কট্টরপন্থীরাই আলোচনা ভ🃏েস্তে দিতে এই ‘হামলা’ চালিয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলি আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আব্রামোভিচ পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একজন ‘ওলিগার্ক’ (প্রভ🅘াবশালী ব্যবসায়ী)। আব্রামোবিচকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল যাতে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে তিনি প🐎ুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। এই আবহে তিনি চেলসি বিক্রি করারও ঘোষণা করেন। এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে মস্কো থেকে কিয়েভ যাতায়ত জারি রেখেছিলেন আব্রামোভিচ।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি শান্তি আলোচনার পর আব্রামোভিচ এবং দু’জন শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চোখ লাল হয়ে যায় এবং জ্বালা করতে থাকে। তাঁদের হাত এবং মুখ থেকে চামড়া খসে পড়তে থাকে। পরে অবশ্য আব্রামোভিচ এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় কর্তারা সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, এর আগে পুতিন বিরোধী রুশ রাজনীতিক অ্যালেক্সি ন্যাভালনিকে এর আগে ২০২০ সালে বিষ দিয়েছিল রুশ গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষক্রিয়ার পর ন্যাভালনির শরীরে যেসব চিহ্ন দেখা গিয়েছিল, আব্রামোভিচের শরীরেও সেরকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল। এদিকে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মারতেও সম্প্রতি রাশিয়া লোক পাঠায় বলে দাবি করা হচ্ছে। ইউক্রেনের দাবি, স্লোভাক-হাঙ্গেরিয়ান সীমান্তের কাছে তারা কিছু দুষ্কৃতীদের ধরেছেন যারা জেলেনস্কিকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে ইউক্রেন♓ে প্রবেশ করেছিল।