আফগানিস্তানে মহিলাদের উচ্চশিক্ষার রাস্তা স্তব্ধ করে তালিবানি ফতোয়া জারি হয়েছে। সেদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তালিবানি ফরমানে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন সেদেশের শিক্ষাবিদরা। ইস্তফা দিয়েছেন ৬০ জন অধ্যাপক। তারই মাঝে সেদেশে এক টিভি ডিবেট-এ যোগ দিয়ে এক তালিবানি অধ্যাপক নিজের ডিপ্লোমা সার🔴্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন।
কাবুলের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক সদ্য এক টেলিভিশন ডিবেটে যোগ দিয়ে নিজের ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন। এই ঘটনা তাঁর তরফে প্রতিবাদ তালিবানি ফতোয়ার বিরুদ্ধে, যেখানে মহিলাদের উচ্চশিক্ষাকে মেনে নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমার মা বোনেরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত সেখানে আমি এই শিক☂্ষাকে গ্রহণ করব না।’ উল্লেখ্য, এই ভিডিয়ো পোস্ট করেন আফগানিস্তানের উদ্বাস্তু বিষয়ক মন্ত্রকের প্রাক্তন নীতি বিষয়ক পরামর্শদাতা শবনম নসিমি। তিনি তুলে ধরেন আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। সেখানে মহিলাদের কলেজ প্রবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার জেরে এর আগেও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, ছাত্রীরা ক্লাস করতে পারছে না বলে ক্ষোভে ছাত্ররা ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে যান। এমন প্রতিবাদের ছবি তালিবানি জমানায় আফগানিস্তানে সচরাচর দেখা যায়নি। এদিকে, যে টিভি ডিবেট ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে সেখানে অধ্🍸যাপক ছিঁড়ে ফেলেন নিজের সার্টিফিকেট। যার উদ্দেশ্য সেই একটাই। তালিবানি ফতোয়ার বিরোধিতা।
ওই টেলিভিশন ডিবেটে অংশ নিয়ে আফগান অধ্যাপক বলেন, ‘ আজ থেকে আমার আর এই ডিপ্লোমাগুলির দরকার নেই। যদি আমার মা বোনেরা পড়াশোনা করতে না পারেন, তাহলে এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমি মেনে নে☂ব না।’ উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের উদ্বাস্তু বিষয়ক মন্ত্রকের প্রাক্তন নীতি বিষয়ক পরামর্শদাতা শবনম নসিমি বর্তমানে একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযুক্ত। যে গোষ্ঠী ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অফ আফগানিস্তান’ নামে পরিচিত। তারা বিপর্যস্ত আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। আর সেই শবনম নসিমির টুইটার প্রোফাইলেই সদ্য উঠে এসেছে এই ভাইরাল ভিডিয়ো।