ঘটনার নৃশংসতায় কার্যত চমকে উঠেছে গোটা দেশ। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে নামে এক তরুণীকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই লিভ ইন পার্টনার এক যুবকের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১৮ মে দিল্লির এই ঘটনার জেরে শিউরে উঠছেন অনেকেই। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার। ঠিক কী বলেছেন তিনি?আমি আফতাবকে দেখেছিলাম। কিন্তু কোনওদিন কথা বলিনি। আমি তাকে পছন্দ করতাম না। আমি চাইতাম না আমার মেয়ে তার সঙ্গে থাকুক। কিন্তু এমনটা যে ঘটে যেতে পারে তা কোনওদিন ভাবিনি।২৮ বছর বয়সী আফতাব পুনাওয়ালা। আর ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা ওয়াকার। দিল্লি পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিসিপি সাউথ অমিত চৌহান এনিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই যুগলের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত। ওইদিন শ্রদ্ধা আফতাবকে লম্পট বলে কটাক্ষ করেন। এরপরই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। তারপর তার শরীরটিকে সে কেটে ফেলে। এরপর সেই শরীরটিকে সে ফ্রিজে রেখে দেয়। সেখান থেকেই মাঝেমধ্যে সে দেহের অংশগুলি দিল্লির বিভিন্ন অংশে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসত।এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ দিল্লির মেহারুলি এলাকায় একটি জঙ্গল থেকে কয়েকটি টুকরো পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি একেবারে পচে গিয়েছে। সেগুলি পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হবে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছেন আফতাব বাড়িতে ধূপ জ্বালিয়ে, রুম ফ্রেসনার দিয়ে রাখত। শ্রদ্ধার দেহের টুকরোর পচা গন্ধ যাতে চাপা দেওয়া যায় সেজন্য সে এসব করত।জঙ্গলে আফতাবকেও নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের মোবাইলে ফোন লাগছিল না। তখনই পুলিশের কাছে যাই। আরও আগে কেন আসিনি সেকথা বলছিল পুলিশ। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও গত মে মাসের পর থেকে আর কোনও লেনদেন হয়নি।শ্রদ্ধার বাবা বলেন, মেয়ে কোনওদিন নির্যাতনের কথা বলত না। কিন্তু আফতাব আমার মেয়েকে মারত। ওর বন্ধুরাই বলেছে। আফতাবের ফাঁসি চাইছি। ২০২১য়ে মেয়েকে ফোন করেছিলাম। জিজ্ঞাসা করেছিলাম কোথায় আছ? বলেছিল বেঙ্গালুরুতে চাকরি করছে। আসলে সে আফতাবের সঙ্গে দিল্লিতে থাকত। ওদের ধর্ম আলাদা থাকার জন্য় এই সম্পর্ক মানতে পারিনি।