মামলা ছিল, অবৈধ সম্পত্তি ও আর্থিক তছরুপ সম্পর্কিত। তদন্তে নেমে এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলের ১♐৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ ( বাজেয়াপ্ত) করার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। সেই নির্দেশ বাতিল করেছে মুম্বইয়ের কোর্ট। অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল থেকে এই রা𝄹য় এসেছে। প্রসঙ্গত, অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল ‘স্মাগলারস অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটর অ্যাক্ট', বা SAFEMA নিয়ে কাজ করে।
প্রসঙ্গত, এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল। শর🎶দ পাওয়ারের এনসিপি ছেড়ে তাඣঁরা কয়েক মাস আগেই মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোটে যোগ দিয়েছেন। সেই জোটে রয়েছে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবিরও। প্রফুল্লরা বর্তমানে এনডিএ জোটসঙ্গী।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওরলির সিজে হাউসের ১২ ও ১৫ তলায় প্রফুল্ল প্যাটেলের ফ্ল্যাট আগেই ‘সিজ’ করেছে ইডি। এই অ্যাপার্টমেন্টের দাম ১৮০ কোটি টাকা। ফ্ল্যাট রেজিস্টার করা রয়েছে প্রফুল্ল প্যাটেলের স্ত্রী বর্ষা এবং প্যাটেলের সংস্থা মিলেনিয়াম ডেভেলপারের নামে। কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই ফ্ল্যাট, হাজরা মেমোনের থেকে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে কে এই হাজরা মেমন? আর সেই প্রশ্নের সূত্র ধরে উঠে আসছে দাউಞদ ইব্রাহিমের নাম। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইকবাল মিরচির প্রথম স্ত্রী হাজরা মেমন। প্রয়াত মিরচি মূলত মুম্বই এলাকায় ড্রাগ মাফিয়া হিসাবে পরিচিত ছিল। একটা সময় মিরচিকে দাউদে𝓡র ডান হাত বলেও মনে করা হত। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে মিরচি। পরে ২০১৩ সালে সে লন্ডনে মারা যায়।
এদিকে, এই ১৮০ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি , তা নিয়ে ট্র꧂াইবুনাল বলছে, প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার পদক্ষেপ অবৈধ, কারণ, ওই সম্পত্তি আর্থিক তছরুপের অংশ নয়, আর তা সরাসরি ইকবাল মিরচির সঙ্গে সম্পর্কিতও নয়। কোর্ট তার নির্দেশে বলেছে, সিজে হাউসের হাজরা মেমোন ও তাঁর দুই ছেলের ১৪ হাজার স্কোয়ারফুটের সম্পত্তি ইতিমধ্যেই আলাদা করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোর্টের নির্দেশ, ফলে আর প্রফুল্ল প্যাটেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দরকার নেই। এর আগে, ইডি বলেছিল যে প্রফুল্ল প্যাটেল প্লটটি কিনেছিলেন - যার উপর পরে সিজে হাউস তৈরি করা হয়েছিল - মিসেস মেমনের কাছ থেকে। হাজরা মেমন ও তাঁর দুই ছেলে 'পলাতক' ঘোষিত হয়েছেন।