মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এক নৈশভোজ আয়োজিত হয়েছিল ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর। শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সেই বারই প্রথমবা হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাক্ষাৎ করেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁদের সেদিন সেই নৈশভোজে এই দুই মুখ্যমন্ত্রী , বিশিষ্টজনরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনৈক আবু মজুমদার। যে ব্যক্তির পরিচিতি সুপুরির চোরাপাচারক♕ারি হিসাবে রয়েছে। এক ছবি সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, 🍬দুই মুখ্যমন্ত্রীর নৈশভোজে উপস্থিত রয়েছে ওই চোরাপাচারকারী।
বিতর্ক দানা বাঁধতেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সাফ জানিয়েছেন ওই চোরাপাচারকারীর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তিনি জানান, ২৫ নভেম্বর রাতের নৈশভোজে তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার আমন্ত্রণ পেয়েই নয়া দিল্লির অসম হাউসে যান। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী সেদিন রাতের নৈশভোজ আয়োজন করা হয়েছিল মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার তরফে। তবে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেন জোরামথাঙ্গা। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী যেমন সাফ জা✱নিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে ওই সুপারির চোরাপাচার🥀কারীর কোনও যোগ নেই। তেমনই তিনি বিবৃতিতে স্পষ্ট করেন ওই কুখ্যাত পাচারকারী সেদিন রাত্রে আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন।
উল্লেখ্য, সেই 🥂রাতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ছিলেন অসমের আরও এক মন্ত্রী অতুল বোরা। এদিকে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীও সেখানে সপারিষদ গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, অসমে চোরা পথে পাচার হয়ে থাকে মায়ানমারের সুপারি। আর এই পাচারের রোডম্যাপ যায় মিজোরামোর উপর দিয়ে। গোটা বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে অসম সরকার। গত কয়েকদিনে সুপারি পাচারের অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু বিজেপি নেতা। বার্মা-সুপারি পাচার ইস্যুতে কয়েকদিন আগেই অসম পুলিশ পাচারের কিনপিন আবু মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি করে। এরপরই এই বিতর্কিত ছবি প্রকাশ্যে আসতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়।