মোবাইল চুরি চক্রে জড়িত দু'জনকে গ্রেফতার করে হতবাক করে দেওয়ার মতো তথ্য পেল আমদাবাদ পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৮ টি দামি মোবাইল। সেগুলি চুরি করে তারা নেপাল এবং বাংলাদেশে পাচার করে দিত। আর এই সব চুরির জন্য তাদের মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হতো। ধৃতদের নাম হল অবিনা🌌শ মাহাতো (১৯) এবং শ্যাম কুরমি (২৬)।
আরও পড়ুন: এ💫বার মোবাইল চুরি রুখতে পদক্ষেপ মোদী সরকারের, এবার সব আ🃏সবে লাইনে?
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমদাবাদ পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতার করেছে। দুজনেই সুরাটের বাসিন্দ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুꦛজনকে মাসে শুধু ২৫ হাজার টাকা করে বেতনই দেওয়া হতো না, তাদের থাকার জন্য সুরাট রেলস্টেশনের কাছে একটি ঘরও দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীরা ধৃতদের🎉 জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানতে পারেন, তাদের চুরির আগে ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ তাদের কাছ থেকে যে ৫৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে তার মধ্যে ২৯টি আইফোন এবং ৯টি ওয়ানপ্লাস ফোন। উদ্ধার হওয়া ফোনগুলির মোট মূল্য ২০.৬০ লক্ষ টাকা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অবিনাশ ও শ্যাম ঝাড়খণ্ডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। অবিনাশের বড় 🌠ভাই পিন্টু মাহাতো এবং অন্য একজন রাহুল মাহাতোও গুজরাটে মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত। তারা চুরি করা ফোনের লক কোনওভাবে খুলে সেগুলি নেপাল ও বাংলাদেশে পাচার করে দিত।জানা গিয়েছে, রাহুল এবং পিন্টু ধৃত দুই যুবক অবিনাশ এবং শ্যামকে ফোন চুরি চক্রে নামিয়েছিল। এরজন্য তাদের মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বেতন দেবে বলে তারা জানিয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফোন চুরি করার জন্য জনবহুল জায়গায় যাওয়ার আগে দুই যুবক ৪৫ দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। জনবহুল এলাকায় তারা দুটি দলে ভাগ হয়ে চুরি করত। এরজন্য একটি দল ভিড়ের মধ্যে ঢুকে যেত আর একটি দল ব্যাগ নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকত। দলের এক সদস্য মোবাইল চুরির পর এবং দ্রুত তা দ্বিতীয় দলটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো। তবে কেউ ধরা পড়লে বাকিরা পালিয়ে যেত। দুজনেই তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারা আমদাবাদ, গান্ধ𝓀ীনগর, ভাদোদরা, আনন্দ এবং রাজকোটে এই ধরনের চুরি করেছে। এইসমস্ত এলাকায় মোট ১৯টি মোবাইল চুরির অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। এ ঘটনা জড়িত আরও দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।