করোনা মোকাবিলায় দে💙শজুড়ে লকডাউনে কঠিন সমস্যায় পড়েছেন ওডিশা ও বিহারের এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা। নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্চ মাসে তাঁরা ওষুধ ♌সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল (ART) থেরাপির অধীনে থাকা রোগীরা লকডাউনের কারণে নিয়মিত ব্যবহার্য ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এনজিও কর্মীরাও। আবার চিহ্নিত হয়ে সম♈াজে একঘরে হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকায় প্রান্তিক গ্রামীণ রোগীদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দিতে পারছেন না এনজিও কর্মীরাও।
ওডিশার খুরদা জেলার বাসিন্দা চল্লিশোর্ধ্ব এক রোগী জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সাধারণত বাস বা অটোয় চেপে ART কেন্দ্র থেকে প্রতি মাসের ♓ওষুধ নিয়ে আসি। কিন্তু পরিবহণের অভাবে বুঝতে পারছি না কী করব।’
ওডিশার আর এক গ্রামে একটি পরিবার꧒ের তিন সদস্যই এইচআইভি পজিটিভ রোগী। মানবাধিকার কর্মী প্রবাসীনি প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা কেউই বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না বলে ওষুধ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ওডিশা রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির প্রকল্প অধিকর্তা সংযুক্তা সাহু জানিয়েছেন, ‘যাঁরা ভুবনেশ্বর বা তার আশপাশে থাকেন, তাঁরা ART সেন্টার থেকে ওষুধ সংগ্রহ করছেন। পুলিশ তাঁদের গ্রিনবুক দেখে যাতায়াতে ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু যাঁরা প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দা, অসুবিধে হচ্ছে তাঁদেরই। আশা কর𒀰া যায় আজকালের মধ্যে সমস্ত এইচআইভি রোগীর কাছে আমরা পৌঁছতে পারব।’
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ꦐভারতে মোট ২৪ লাখ এ🌱ইচআইভি রোগীর মধ্যে ১২ লাখ ART ওযুধের উপরে নির্ভরশীল। ওডিশায় ৩৫ হাজারের বেশি এইচআইভি পজিটিভ রোগী রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে প্রায় ২১ হাজার এই ওষুধের উপরে নির্ভর করেন।
ART ওꦯষুধ জোগাড় করতে গিয়ে লকডাউনের গেরোয় নাজেহাল বিহারের বাসিন্দারাও। রাজ্যের ৩৮টি জেলার জন্য মাত্র ২০টি ART সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি রাজধানী পটনায় অবস্থিত। যার ফলে পরিবহণ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বহু দূর থেকে হেঁটে পটনা এসে ওষুধ সংগ্রহ করতে হচ্ছে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অন🎃েক বুঝিয়ে 🔯ওষুধ বণ্টন সমস্যার কিছু সমাধান করতে পেরেছেন এনজিও কর্মীরা। সম্প্রতি লতকডাউনের মোকাবিলায় তাঁদের ২টি অ্যাম্বুল্যান্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করেছে বিহার রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটি।