সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে, কখনও বা টিকিট বুকিংয়ের নামে আবার প্যান কার্ড আপডেট করার নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তাছাড়া, সোশ্যাল মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে অথবা প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম করে প্রতারণার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম করে টাকা ꧒চাওয়াꦏর অভিযোগ উঠল। ঘটনার পরেই প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লিঙ্গভেদ দূর করতে স্তꦡ্রীয়ের পরামর্শে CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কোন পদক্ষেপ নিলেন?
জানা গিয়েছে, একজন এক্স হ্যান্ডেলে নিজেকে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির কাছে টাকা চেয়ে মেসেজ করেন। মেসেজে বলা হয়, ‘আমি ভারতের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের একটি জরুরী বৈঠক🎶 রয়েছে। তবে আমি একটি জায়গায় আটকে রয়েছি। আমাকে ক্যাব ভাড়া করার জন্য ৫০০ টাকা ধার দিন। আমি কোর্টে পৌঁছে ফিরিয়ে দেব।’ জানা গিয়েছে, যিনি ওই মেসেজটি পেয়েছেন তিনি হলেন, কৈলাশ মেঘওয়াল। তাঁর বুঝতে দেরি হয়নি যে মেসেজ পাঠানো ব্যক্তি এখন প্রতারক। এরপর তিনি ২৫ অগস্ট সেই মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেটি পোস্ট করার পর থেকে ২ লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে। ২,৫০০ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। অনেকেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
একজন ব্যক্তি রসিকতা করে লিখেছেন, ‘এটি একটি কেলেঙ্কারী। কিন্তু, তিনি এটি আইপ্যাড থেকে পাঠিয়েছেন। তাই অবশ্যই একটি বৈধ।’ আবার অনেকেই পুলিশের কাছে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া সাইবার ক্রাইম নিয়ে বাকিদের সর্তক করেছেন। আবার অনেকেই এই সাইবার ক্রাইম রুখতে সুপ্রিম কোর্টের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন। তবে মেসেজটি ভাইরাল হতেই পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি জানতে পেরে সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলেছে। প্রধান বিচারপতির নির💛্দেশে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।