যে 🥂রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র প্রতিষেধক বা টিকার তীব্র বিরোধী, তাঁকেই এবার মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিষেবা বিভাগের মাথায় বসাতে চলেছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনꦯাল্ড ট্রাম্প।
প্রসঙ🌟্গত, রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র অনেক বেশি পরিচিত আরএফকে নামে। তথ্য বলছে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে ত✅াঁর নীতি ও মতামতকে প্রায়শই বিপজ্জনক বলে অভিযোগ করা হয়।
অথচ, এবার থেকে তিনিই আমেরিকার প্রতিষেধক সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়, ওষুধ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সেইসঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের বিষয়🌃গুলির দেখভাল করবেন।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান পদে আরএফকে-র নাম প্রস্তাবিত করার কথা ঘোষণা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিনিরা শিল্পজাত খাদ্য এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির দ্বারা শোষিত হয়ে চলেছে। জনস্বাস্থ্য প্রদানের ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, ভুল তথ্য প꧋রিবেশন করেছে এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।'
ট্রাম্পের দাবি, কেনেড𓄧িই ‘সমস্ত রকমের সংক্রামক মহামারির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকাকে আবারও মহান ও সুস্থ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলবেন!’
ট্রাম্পের কাছ থেকে এমন প্রশংসা আসার পর চুপ করে থাকেননি আ🧸রএফকে-ও। তিনি ত💯াঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পালটা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
আরএফকে লিখেছেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার নেতৃত্ব ও সাহসের জন্য ধন্যব🐷াদ। আমেরিকাকে পুনরায় সুস্থ করে তোলার যে স্বপ্ন আপনি দেখেছেন, আমি তা বাস্তবায়িত করব। সংক্রামক মহামারি চিরকালের জন্য শেষ করতে আমরা বিজ্ঞান, ওষুধ, শিল্প এবং সরকার পক্ষের সেরাদের একত্রে আনার সুযোগ লাভ করেছি।'
কে এই রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র?
সারা বিশ্ব💯েই রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র একটি অতি পরিচত নাম। এর কারণ, তিনি আগাগোড়া যেকোনও টিকা বা প্রতিষেধকের বিরোধিতা করে এসেছেন। এমন⛄কী, ইদানীং তিনি বলতে শুরু করেছেন, প্রতিষেধকের কারণেই শিশুদের মধ্যে অটিজম-সহ অন্য়ান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে!
এহেন 💧আরএফকে-র আরও একটি পরিচয় হল, তিনি শুধুমাত্র আমেরিকার নয়, বস্তুত - বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্ত🧸ান।
তিনি প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে এবং প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট🐎 জন এফ কেনেডির ভাইপো।
গতౠবারের প্রেসিডেন্𒈔ট ভোটে তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী লড়াইয়েও সামিল হয়েছিলেন।
যদিও পরবর্তীতে তিনি রিপাবলিকানদের সঙ্গে একজ💝োট হন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে পুরো দমে প্রচার শুরু করেন। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, এই কারণেই দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেই ট্রাম্প তাঁকে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।