এখনও যা ঠিক আছে, তাতে পাকিস্তানেই হতে চলেছে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে প্রতিযোগিতার সব ম্যাচই পাকিস্তানে হবে কি না, 🐓তা নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি। তবে এরই মাঝে টুর্নামেন্টের প্রোমোশনে পাকিস্তানের নাম লিখেই প্রচার প্রচার শুরু করেছে আইসিসি। এরই মাঝে আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুর হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। তবে স্পোর্টস তক-এর রিপোর্টে দাবি করা হল, সেই ট্যুর এবার বাতিল করে দিল আইসিসি। উল্লেখ্য, এই ট্রফি ট্যুরে গন্তব্যের তালিকায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি শহরের নাম উল্লেখ করেছিল পিসিবি। এরপরই এই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল আইসিসি। যার জেরে পাকিস্তান জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, খেলাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তান রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে এই ট্রফি ট্যুরকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল ভারতের বিরুদ্ধে। তবে আইসিসির সিদ্ধান্তের জেরে সেই পথ♎ বন্ধ হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পৌঁছে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই আবহে ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ট্রফি ট্যুর। ২৪ নভেম্বর পর্য🐠ন্ত সেটি চলার কথা। সেই ট্যুরের সূচি প্রকাশ করে পাক ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল, মুজাফ্ফরাবাদে, স্কারদু, হুনজাতেও যাবে এই ট্রফি। উল্লেখ্য, এই তিনটি জায়গাই পাক দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ড। এই আবহে ভারত-পাকিস্🐠তান সম্পর্কে আরও তিক্ততা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে এই ট্যুরই বাতিল করে দিয়েছে আইসিসি।
পাকিস্তানের 'কূট-চাল'
উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে তাদেরই, এটা 𒁏প্রমাণ কর বারবার সেখানে বিদেশি অতিথিদের নিয়ে যায় ইসলামাবাদ। এর আগে মার্কিন সেনেটরকেও সেখানে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। যার কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। আর এবার আইসিসি ট্রফি পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে ঘোরানোর পরিকল্পনা করেছিল পিসিবি। তবে তাদের 🔯সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল আইসিসি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু জটিলতা
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এদিকে সাম্প্রতিক বেশ কিছু রিপোর্টেই দাবি করা হচ্ছে, হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাতে ভারতের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে। এরই সঙ্গে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও হবে না পাকিস্তানে। তবে এই হাইব্রিড মডেলকে নাকি 'না' করে দিয়েছে পিসিবি। 🐟উল্লেখ্য, বর্তমানে পিসিবি চেয়ারম্যান আবার মোহসিন নকভি। তিনি পাকিস্তানের মন্ত্রীও বটে। এই আবহে ক্রিকেটকে হাতিয়ার করে ভারতকে বাগে আনতে চাইছে পাকিস্তান। তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে খেলতে তারা যাবে না। অপরদিকে ভারতকে ছাড়া আইসিসি টুর্নামেন্টের কথাও ভাবা যায় না। এই আবহে হাইব্রিড মডেলে পিসিবি সহমত না হলে প্রতিযোগিতা দক্ষিণ আফ্রিকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও দাবি করা হচ্ছিল। তবে সেই ক্ষেত্রে আবার পাকিস্তান প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই সব জটিলতার মাঝেই পাকিস্তান নিজেদের পুরনো 'কূট-চাল' দিয়ে 'কাশ্মীর ইস্যু'র আগুনে ঘি ঢালতে চেয়েছিল। তবে ভেন্যু জটিলতার মাঝে আপাতত আর নতুন বিতর্ক তৈরি হবে না ট্রফি ট্যুর বাতিল হওয়ায়।