উড়ন্ত বিমানের মধ্যে আসন পরিবর্তন করা নিয়ে বচসা। তার জেরে বিমানে ভাঙচুর চালালেন এক যাত্রী। শুধু ভাঙচুরই নয়, বিমানের মধ্যে ধূমপান এমনকী কেবিন ক্রু সদস্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেন ওই যাত্রী। এই অভিযোগে নেপালের নাগরিক ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, ওই যাত্রী ওয❀়াশরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। অভিযুক্ত যাত্রীর নাম মহেশ সিং পান্ডে। অভিযোগ, ওই যাত্রী তাঁর আসন ২৬ ই থেকে ইকোনমি ক্লাস ২৬ এফ–এ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।মঙ্গলবার টরন্টো থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মুম্বই-দিল্লি AI উড়ানে মলত্যাগ ব্যক💜্তির, করলেন প্রস্রাবও! 'নষ্ট' তিনটি আসন
অভিযোগ, আসন পরিবর্তন করার সময় ক্রু সদস্য আদিত্য কুমার তাঁকে আটকাতে গেলে বচসা বাঁধে। ক্রু সদস্যকে ধাক্কাধাক্কি করেন ওই যাত্রী। এবিষয়ে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে সিনিয়র পাইলটের কাছে অভিযোগ জানান। তাতে মহে🌺শ কিছুক্ষণের জন্য শান্ত হন। কিন্তু, পরে তিনি আবার ঝামেলা করেন বলে অভিযোগ। বিমানে ধূমপান নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই যাত্রী ওয়াশরুমের 🎉দরজা ভেঙে ধূমপান করেন।। স্মোক অ্যালার্ম বেজে উঠলে ক্রু সদস্যরা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। আরও কয়েকজন যাত্রী বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত তাঁদেরকেও মারধর করে বলে অভিযোগ।
এরপর তাঁকে কোনওভাবে থামানো হয় এবং দিল্লিতে পৌঁছে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ আইজিআই থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির 🧸একাধিক ধারায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে৷আদিত্য কুমার বলেন, ‘আমরা আরও ১০ জন যাত্রীর সহায়তায় অভিযুক্ত যাত্রীকে আটকাতে পেরেছি। পরে আমরা জানতে পারি অভিযুক্ত যাত্রীদের মারধরের চেষ্টা করছে।’
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটꩲনা এই প্রথম নয়। এপ্রিলেও এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রুদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। ফ্লাইট চলাকালীন যাত্রীদের দুর্ব্যবহারের কারণে এপ্রিলে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটিকে বিমানবন্দরে ফিরতে হয়েছিল। বিমান সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইটে এক যাত্রী ক্রু সদস্যদের সঙ্গে মারপিট শুরু করেন। ঘটনায় আহত হন ২ জন ক্রু সদস্য। বিমানের কর্মীরা ওই যাত্রীকে বারবার সতর্ক করলেও যাত্রী🍸 দুর্ব্যবহার করতে থাকেন।
এছাড়াও, গত কয়েক মাসে যাত্রীদের দুর্ব্যবহারের বেশ কয়েকটি অভিযো🐻গ উঠেছে। প্রথম যে ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ২৬ নভেম্বর। নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী🀅 এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে একজন যাত্রী মাতাল অবস্থায় প্রস্রাব করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলায় ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।