পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পুরনো বন্ধু। তাই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সরকারের মন্ত্রিসভায় নভজ্যোত সিং সিধুক🎶ে ফিরিয়ে আনার জন্য পাকিস্তান থেকে মেসেজ এসেছিল। এমনই দাবি করলেন পঞ্জাব লোক কংগ্রেস দলের সুপ্রিমো। পালটা কংগ্রেসের দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও অমরিন্দর যেভাবে কথা বলছেন, তা লজ্জাজনক।
সোমবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস-শাসিত পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর বলেন, ‘আমি সিধুকে কাজ (পড়ুন মন্ত্রিত্ব) থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। ওই ব্যক্তি পুরোপুরি অযোগ্য, অক্ষম এবং অকর্মণ্য ছিলেন। ৭০ দিনে একটি ফাইলও সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আমি পরিষ্কার বলে দিয়ে🃏ছিলাম যে আমার সরকারে তোমায় চাইছি না।’ সঙ্গে তিনি বল♒েন, ‘কয়েক সপ্তাহ পরে আমি একজনের থেকে মেসেজ পেয়েছিলাম আমি। তাঁকে আমরা দু'জনেই চিনি। আমি পাকিস্তান থেকে মেসেজ পাই যে প্রধানমন্ত্রী (ইমরান খান) আর্জি জানিয়েছেন, যদি আপনি সিধুকে নিজের মন্ত্রিসভায় নিতে পারেন, তাহলে উনি কৃতজ্ঞ থাকবেন। ওঁনার দীর্ঘদিনের বন্ধু হলেন সিধু। যদি উনি (সিধু) কাজ করতে না পারেন, তাহলে সরিয়ে দেবেন।’
যদিও অমরিন্দরের সেই দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সিধু। তিনি শুধু বলেন, অমরিন্দর হলেন ‘খরচ হয়ে যাওয়া কার্তুজ।’ তবে কংগ্রে🧔সের তরফে অমরিন্দরের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, 'উনি (অমরিন্দর) আমাদের বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উনি যেখানে কথা বলছেন, তা লজ্জাজনক বলে মনে হয়েছে আমার। উনি একটি সাংবিধানিক পদে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শিরোনামে থাকতে এরকম মন্তব্য করা উচিত নয়।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'আজ পঞ্জাবের মূল বিষয় হচ্ছে - কৃষক, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং বেকারত্ব। এরকম বিষয় উত্থ𓆉াপন করে কেউ নজর ঘোরাতে পারেন। সেটাই উনি করছেন।'