যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের তাতে যেন কিছু যায় আসে না। নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাই ২০২৪ সাল🐼ের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা করে দিলেন ব্রিজভূষণ। সাধারণত বিজেপিতে এভাবে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নির্বাচনে লড়াই কররা কথ ঘোষণা করে না। দলের তরফে এই ধরনের ঘোষণা করা হয়। তবে ব্রিজভূষণ ঘোষণা করলেন যে ২০২৪ সালে তিনি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কায়সরগঞ্জ থেকেই ফের ভোটে লড়বেন। প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বেশ প্রভাব রয়েছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে। এদিকে পূর্বাঞ্চলের সমর্থনের ওপর দাঁড়িয়েই গত নির্বাচনে রাজ্য দখল করেছিল বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও পূর্বাঞ্চলের ফলাফল বড় ভূমিকা পালন করবে। এই আবহে যেন নিজের দলকেই চাপে রেখে বড় ঘোষণা করলেন ব্রিজভূষণ।
এর আগে ব্রিজভূষণ বারংবার নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তবে এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। যদিও বিজেপি সাংসদকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তে নেমে অবশ্য দিল্লি পুলিশ সাংসদের বাড়ি এবং দফতরে গিয়ে অনেককে জেরা করেছে। এই সবের মাঝেই গত ৫ জুন অযোধ্যায় ব্রিজভূষণের একটি জনসভা হওয়ার কথা ছিল। তবে তা বাতিল করা হয়। তবে গতকাল উত্তরপ্রদেশে গোন্দা জেলায় নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সভা করেন ব্রিজভূষণ। মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছিল সেই সভা। সেখান থেকেই ব্রিজভূষণ ঘোষণা করে দেন যে আগামী ভোটেও তিনি কায়সরগঞ্জ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নির্বাচনে। এর আগে জল্পনা চলছিল যে ব্রিজভূষণ হয়ত ২০২৪ সা🐻লের নির্বাচনে অযোধ্যা বা গোন্দা থেকে লড়তে পারেন। সেই জল্পনায় নিজেই জল ঢাললেন বিতর্কিত এই সাংসদ।
এদিকে সভায় ব্রিজভূষণ দাবি করেন, কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে তিনি চুপ আছেন কারণ বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এদিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যাবতꦚীয় অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন কর♌তে হবে বলে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। সেই মতো পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এই গোটা বিতর্কে বিজেপি বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে। অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এত কিছুর মাঝেও ব্রিজভূষণের দাবি, ২০২৪ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হবে এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার গড়বে। এরই মাঝে গতকাল ২৩ মিনিটের জনসভায় ব্রিজভূষণ বুঝিয়ে দিলেন যে সেই অঞ্চলের ওপর তাঁর কতটা প্রভাব। এদিকে গতকালকের জনসভায় ব্রিজভূষণ কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেও সমাজবাদী পার্টিকে আক্রমণ করেননি। উল্লেখ্য, এর আগে সমাজবাদী পার্টিতেও দীর্ঘ ৬ বছর ছিলেন ব্রিজভূষণ। সাম্প্রতিককালে তিনি বলেছিলেন, 'কুস্তিগিরদের আন্দোলনের সত্যিটা অখিলেশ যাদব জানেন। তাই তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না।' এই আবহে জনসভায় সাইকেল বাহিনীকে আক্রমণ না শানিয়ে ব্রিজভূষণ নিজের জন্য রাস্তা খোলা রাখলেন বলেই মত বিশ্লেষকদের।