২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে দেরি হওয়ার পর এক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-এর দায়ের করা সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের শুক্রবারের রায়ে স্বস্তি পেল কমিশন। আর্জি ছিল লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন যেন🐻 তার ওয়েবসাইটে ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তার জন্য নির্দেশ যেন সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে দেয়। তবে ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, গত বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনা♓নি চলেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বুথ ভিত্তিক ভোটের হারের পরিসংখ্যান ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়ে𝔉বসাইটে প্রকাশ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। তবে আদালত রায় রিজার্ভ রাখে। এরপর ষষ্ঠ দফা ভোট পর্বের আগের দিন নির্বাচন কমিশনকে স্বস্তি দিয়ে এই রায় প্রকাশ করেছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে, এই মামলা নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে, বুথভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ রূপে জনমসক্ষে আনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভালো দিক নয়। একটি হলফনামায় কোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, লোকসভা ভোটপর্ব শুরু হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। সেই দিন ছিল প্রথম দফার ভোট। এরপর দ্বিতীয় দফার ভোট ছিল ২৬ এপ্রিল। তবে এই দুই দফার ভোটে কোন বুথে কত ভোট পড়েছে, সেই ধরনের তথ্য ভোটদানের পর পরই প্রকাশ্যে আসেনি। কমিশন সেই তথ্য প্রকাশ করেছিল ৩০ এপ্রিল। এই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক। কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৬৬.৭১ শতাংশ, অথচ ভোটের দিন কমিশন জানিয়েছিল ভোটদান হয়েছে ৬০.৬৯ শতাংশ। উঠ🌺তে থাকে প্রশ্ন। প্রশ্ন ওঠে কীভাবে এই মাঝের সময়টায় ৫.৭৫ শতাংশ ভোট বেড়ে গেল? এই নিয়ে মামলা উঠতেই কমিশন জানিয়েছে যে, ভোটের শেষ দফার দিকে এসে এখন তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া বদল করা সমস্যাজনক। এই মামলা চলাকালীন আগেই নির্বাচন কমিশন নিজেদের হলফনামায় বলেছে, বুথ ভিত্তিক ভোটের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার কোনও আইন নেই। এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারেন। মামলায় কোর্ট বলেছে, প্রার্থী বা তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তিকে ফর্ম ১৭ সি প্রদান করা যাবে না।