উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদকে দমন করতে ১৯৫৮ সালে সেনা বাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে লাগু হয় আফস্পা আইন। সেই আইন নিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির তরফে বিভিন্ন সময়ে বহু বিরোধিতা শোনা গিয়েছে। সদ্য ২০২১ সালের শেষে নাগাল্যান্ডে সেনার গুলিতে ১৪ জনের নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই আফস্পা আইন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এরপর বৃহস্পতিবার কেন্দ্র জানিয়ে দেয় যে, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অসমের একাংশ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা তুলে নেওয়া হচ্ছ✱ে। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘোষণা করেন।
এক টুইটে অমিত শাহꩲ জানান, ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ এর আওতায় নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুরের বিভিন্ন 'অশান্ত এলাকা'র সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শাহের টুইটে লেখে রয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সরকার কয়েক দশক পর নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অসমে আফস্পার আওতায় থাকা অশান্ত এলাকাগুলির সংখ্যা কমিয়ে ফেলার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। ’ তাঁর আশা উত্তরপূর্বের শান্তি রক্ষায় এই পদক্ষেপ গুরুতর দিক হয়ে উঠবে। এই ঘটনার হাত ধরে নতুন এক যুগের সূচনা হবে বলে আশা করেছেন অমিত শাহ।
উল্লেখ্য, উত্তরপূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ধ্বংস করতে ও উন্নয়নের গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিতে এই আফস্পা আইন লাগু করে সেনার হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরপূর্বের তিন রাজ্যের 🥀একাধিক এলাকার। সেই এলাকার সংখ্যাই এবার কমিয়ে আনছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ অসম সহ, নাগাল্য়ান্ড, মণিপুরের ইম্ফল বাদে বাকি এলাকা ও অরুণাচল𓆏ের ৩ জায়গায় আফস্পা লাগু রয়েছে। জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকেই এই নয়া নিয়ম বলবৎ হতে চলেছে। উল্লেখ্য, সরকার বিভিন্ন বক্তব্যে জানিয়েছে, যে গত সাত বছর ধরে ভারতের উত্তরপূর্বে কমে আসতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদ। এরপর আফস্পা নিয়ে কেন্দ্রের এই নয়া সিদ্ধান্ত রীতিমতো রসদ যুগিয়েছে সেই বক্তব্যে।