নীরজ চৌহান
দুর্নীতি বা প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযো✨গে বিদ্ধ অনেকে। তা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁর অধীনস্থ বিভিন্ন দফতরের আধিক𝓰ারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হচ্ছে না। তদন্তে সেই গড়িমসি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে ‘কঠোরভাবে’ নিয়ম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সেই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগ ও ডিভিশনের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) নির্দেশ মতো তদন্ত এবং বিভাগীয় তদন্তের জন্য নি꧋র্ধারিত সময়সীমা আছে। তা বিভিন্ন দফতর বা ডিভিশন যে মেনে চলছে না, সেই বিষয়টি (কেন্দ্রীয়) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে এসেছে।’ সব দফতরের মুখ্য ভিজিল্যান্স অফিসারের কাছে পাঠানো সেই চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কঠোরভাবে নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
২০০০ সালের মে মাসে নির্দেশিকা জারি করে সিভিসি জানিয়েছিল, সরকারের কোনও দফতরের কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার এক মাসের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সেই ঘটনায় নজরদা꧒রির প্রয়োজন আছে কিনা। পাশাপাশি ছ'মাসের মধ্যে সেই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শেষ করতে হবে।
শাহের অধীনে আছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ), 🔯ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি), সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি), অসম রাইফেলস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি), ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিপিআরডি), ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-সহ একাধিক দফতর। ডিভিশনের মধ্যে শাহের অধীনে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, লেফট-উই⭕ং এক্সট্রিজম, সীমান্ত রক্ষা, বিদেশ ডিভিশন, সাইবার ক্রাইম, কেন্দ্র-রাজ্য ডিভিশন-সব অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সংক্রান্ত দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশন।
বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনেক তদন্তই বছরের পর বছর ধরে চলে। তবে শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নয়, কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরে তদন্তের ক্ষেত্রেও একইরকম গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। গত মাসেই ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ জানিয়েছিল, কেন্দ্রের সমস্ত মন্ত্রক এবং দফতরের মুখ্য ভিজিল্যান্স অফিসারকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন। তাতে দুর্♑নীতি বা প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগে বিদ্ধ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময় মেনে শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। করোনাভাইরাস মহামারীর পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সেই প্রক্রিয়া ভিডিয়ো কনফারেন্সে চালু রাখতে বলা হয়েছিল।