কত শতাংশ পরিবারের কাছে চার চাকার গাড়ি আছে? একটি সহজ গ্রাফিক্সের মাধ্যমে ব্যাখা করলেন মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। একটি সহজ ইনফোগ্রাফিক্সের মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্যে মোট কত শতাংশ পরিবারের কাছে গাড়ি রয়েছে, তা ব্যাখা করেছেন তিনি। ভারতের মানচিত্রে সবুজ, লাল, গোলাপি এবং হলুদ রঙের মাধ্যমে সেটি দেখানো হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, সমগ্র দেশে মোট যত পরিবার আছে, তার মাত্র ৭.৫%-এর কাছে গাড়ি আছে।লক্ষণীয় বিষয় হল জম্মু ও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশের মতো পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে গাড়ি থাকা পরিবারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সেখানে গড়ে প্রায় ২২% পর্যন্ত পরিবারের কাছেই গাড়ি রয়েছে। অর্থাত্ প্রতি ৫টি পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ জনের কাছেই গাড়ি। এমনকী মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটকের মতো ধনী রাজ্যেও গাড়ির মালিকার সেই তুলনায় কম।এই ছবিটি পোস্ট করে আনন্দ মাহিন্দ্রা জানতে চান, এই বিষয়ে সবার কী অভিমত।আনন্দ মাহিন্দ্রার টুইট বরাবরই বেশ ভাইরাল হয়। তবে এটি যেন একটু বেশিই ভাইরাল হয়েছে অন্যগুলির তুলায়। তবে এটি আসল কোন সূত্র থেকে প্রাপ্ত, তা জানা যায়নি। ছবিতে থাকা সেই লোগো মুছে দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিসংখ্যানের পিছনে নানা ব্যাখা দিয়েছেন সকলে। এর থেকে মূলত _ ধরণের ভাবনা উঠে আসছে।১. অনেকে বলছেন, যে রাজ্যগুলিতে মাথাপিছু আয় কম, সেখানেই ব্যক্তিগত গাড়ি কম। কিন্তু এর বিপরীতে অনেকে বলছেন, তেমনটাই যদি সত্যি হয়, তাহলে কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে এত বেশি গাড়ি কেন?২. একাংশের মতে, যে যে রাজ্যে জন পরিবহণের ব্যবস্থা খুব ভাল, সেখানে গাড়ির প্রয়োজনীয়তাও কম। পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে ট্রেন, বাস ব্যবস্থা পার্বত্য রাজ্যগুলির তুলনায় ভাল। সেই কারণে সেখানে সামর্থ্য থাকলেও সকলে গাড়ির প্রয়োজন বোধ করেন না।অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে ট্রেন-বাসের ব্যবস্থা কম। তাই সেখানে গাড়ির সংখ্যাও বেশি।৩. পার্বত্য রাজ্যগুলিতে পর্যটনের কারণেও বিপুল পরিমাণে গাড়ি ব্যবহৃত হয়। সেই কারণে সেখানে গাড়ি কেনার প্রবণতা বেশি।অনেকেই বলছেন, জনসংখ্যার এই সামান্য অংশের কাছেই গাড়ি। আর তাতেই এত বেশি যানজটের সমস্যা। সময়ের সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। ফলে এই পরিসংখ্যানও উর্ধ্বমুখী হবে। সেক্ষেত্রে আগামিদিনে যানজট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।এর উপায় হিসাবে আরও উন্নত সড়ক ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন অনেকে। আবার অনেকে সাইকেল, বাস, মেট্রোর মতো ব্যবস্থায় জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন।এই বিষয়ে আপনার কী মতামত?