অন্ধ্রপ্রদেশের বুকে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ🔜্গে তেলুগু দেশম পার্টির রাজনৈতিক সংঘাতের ছবি নতুন কিছু নয়। তেলুগুদেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নায়ডুর ও ওয়াই এসআর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি কার্যত রাজনৈতিক আঙিনার দুই ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। তবে এবার অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন ১৩ টি জেলার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে জগন-সরকার জানিয়েছে﷽, বিজয়ওয়াড়া জেলার নাম তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের নামে নামাঙ্কিত হবে। উল্লেখ্য, জগনের এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ, তেলুগু দেশম পার্টির ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর সমীকরণ বলে অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন।
১৯৭৪ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ ডিস্ট্রিক্ট ফরমেশন অ্যাক্ট এর ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সেরাজ্যে ১৩ টি জেলা গঠন করা হচ্ছে। এই মর্মে একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির প্রশাসনের তরফে। এই নতুন জেলা গঠন নিয়ে কোনও আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে তা জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় জনতার সামনে রেখেছে জগন সরকার। বুধবার বিজয়ওয়াড়া পুরস্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল বিশ্বভ🏅ূষণ হরিচন্দন জানিয়েছেন, আরও ১৩ টি জেলা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজ্যে এর হাত ধরে মোট ২৬ টি জেলা গড়ে উঠবে। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশে ১৩ টি জেলা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার এক বিশেষ বৈঠকে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে এই জেলা গঠন নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। উল্লেখ্য, আগামী ২ রা এপ্রিল রাজ🌃্যে উগাডি উৎসব পালিত হতে চলেছে। সেই দিন তেলুগু নববর্ষ পালিত হয়। এই দিনের মধ্যেই রাজ্যে নতুন ১৩🀅টি জেলা গঠনের কথা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে নতুন জেলা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জগন সরকার। তাঁর পার্টি ওয়াই এসআর কংগ্রেস জানিয়েছে এবার সেই প্রতিশ্রুতি পালনের পর্ব সম্পন্ন করছে জগন সরকার।
উল্লেখ্য, তেলুগু রাজনীতিতে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে জগনের সংঘাতের ছবির মাঝেই বিজয়ওয়াড়া জেলার নাম, জগনের বিপক্ষ শিবির তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের নামে করা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক জল্পনা চলছে। উল্লেখ্য, সম্পর্কে চন্দ্রবাবু নায়ডুর শ্বশুরমশাই হন প্রয়াত টিডিপি নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাও। এর আগে কৃষ্ণা জেলাকে এনটি রামারাওয়ের নামে নামাঙ্কণের কথা বলেছিলেন জগন। তবে সেখানে কৃষ্ণা নদীর সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকায় পরে বিজয়ওয়াড়া জেলা নিয়ে এই পদক্ষেপ নেন জগন। এদিকে, বিজয়ওয়াড়া জেলা ছাড়াও মন্দির নগরী তিরুপতি আলাদা জেলা হয়ে উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এই জেলা গঠনে🀅র প্রস্তাবে সিলমোহর পড়লেই অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার জেলা হবে আর সবচেয়ে কম জনসংখ্যার জেলা হয়ে উঠবে আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলা।