꧙ রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের শেয়ারের পতন সত্যিই একটি পর্যবেক্ষণের বিষয় বটে। এক সময়ে স্টক মার্কেটের প্রথম সারিতে থাকা এই শেয়ারই এখন তলানিতে। এই শেয়ারেই টাকা বাড়িয়েছিলেন অনেক বিনিয়োগকারীরা। এদিকে একসময়ে সেই একই শেয়ারে লোকসান করেছেন অনেকেই। আসলে কোনও সংস্থার ব্যবসার পরিস্থিতির উপরেই তাদের শেয়ারের দর নির্ভর করে। দিনশেষে সংস্থার আর্থিক রিপোর্ট ও আগামীতে ব্যবসার বাড়ানোর পরিকল্পনাটাই সব। আর সেটাই যখন শেষ হয়ে যায়, শেয়ারের দামে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এই কারণেই এক সময়ে প্রায় ৮০০ টাকার কাছাকাছি দাম ছিল যে শেয়ারের, এখন সেটাই কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ টাকায়। গত তিন দিনে ১.৯০ থেকে ২টাকার আশেপাশেই চলাফেরা করছে এই শেয়ার। 💫আরও পড়ুন: ৩ বছরে ৪৫০% উত্থান এই সংস্থার শেয়ারে! আপনার বিনিয়োগ আছে কি?
🐎কে বলবে, ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারিই এই শেয়ার ৮২০.৮০ টাকায় পৌঁথে গিয়েছিল। সেই সময়ে যদি কেউ এতে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে কী হবে? প্রথমত, ১৫ বছর ধরে কেউ এই শেয়ার ধরে রাখবেন, এটা কল্পনা করা কঠিন। তবে যদি কেউ সত্যিই এমনটা করতেন, সেক্ষেত্রে সেই শেয়ারের দাম এখন কমে ১ হাজার টাকারও কমে দাঁড়াবে। রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের শেয়ারের বিপুল পতন সত্যিই একটি পড়াশোনার বিষয়।
RCom-এর শেয়ার দরের ইতিহাস অনুযায়ী, এই স্টক ২০০৬ সালের মার্চে ৩০০.৫৫ টাকা করে ট্রেড করেছে। সেখান থেকে এই স্টক বেড়ে ৮০০ টাকার উপরে চলে গিয়েছিল। তা-ও আবার মাত্র ২ বছরের ব্যবধানেই। অর্থাত্ ২০০৬ সালে কেউ এই শেয়ার কিনে তা ২০০৮ সালে বেচে থাকলে ভালই মুনাফা করেছেন। টাকা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছেন তিনি। অথচ সেই শেয়ারই আজ মাত্র ২ টাকায় নেমে এসেছে। ꦰআরও পড়ুন: ৮০০ কোটি টাকার শেয়ার বেচতে চলেছে Dabur-র বর্মন পরিবার! আপনি কিনবেন?
♏অনিল ধীরুভাই আম্বানি গোষ্ঠীর এই সংস্থা এক সময়ে টেলিকম সেক্টরের জায়ান্টদের তালিকায় অন্যতম ছিল। কিন্তু টেলিকম সেক্টরে অনিল আম্বানিরই দাদা মুকেশ আম্বানির Jio -র প্রভাবে ক্রমেই সংস্থাটি বাজার হারাতে শুরু করে। গভীর ঋণে ডুবে যায় RCom