শুধুমাত্র বার্ষিক আয়ের ভিত্🐲তিতে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) মধ্যে 'ক্রিমি লেয়ার' বা অবস্থাভাবাপন্ন অংশকে চিহ্নিত করা যাবে না। তার ভিত্তিতে তাঁদের সংরক্ষণের সুবিধা পেতে বঞ্চিত করতে পারবে না রাজ্যগুলি। এমনই নির্দেশ ꦚদিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৬ সালে হরিয়ানা সরকারের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অর্থনৈতিক মাপকাঠি ছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে 'ক্রিমি লেয়ার' বা অবস্থাভাবাপন্ন অংশকে (চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক, শিক্ষাগত-সহ অন্যান্য বিষয়গুলিও বিবেচনা করতে হবে। যে বিজ্ঞপ্তিতে হরিয়ানা সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) মধ্যে যে পরিবারগুলি বার্ষিক আ𒆙য় ছ'লাখ টাকার বেশি, তারা সরকারি চাকরি এবং শি🌸ক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না।
সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছিল পিছড়ে বর্গ কল্যাণ মহাসভা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি এল নাগেশ্বরা রাও এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ বলেছে, '২০১৬ সালের ১৭ অগস্ট জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে ক্রিমি লেয়ারের চিহ্নিতকরণের জন্য শুধুমাত্র অর্থনৈতিক🦩 মাপকাঠি আছে। পরিষ্কারভাবে ইন্দিরা সহনে মামলায় এই আদালত রায় দিয়েছিল যে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভিত্তিতে ক্রিমি লেয়ারকে বাদ রাখা যাবে না।' শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হরিয়ানা সরকার🌸 যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে লঙ্ঘন করেছে। যা ‘মারাত্মক ভুল’ ছিল।
সেইসঙ্গে হরিয়ানা সরকারকে তিন মাসের মধ্যে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯꧋২ সালে ইন্দিরা সহনে মামলায় যে রায় দি💦য়েছিল শীর্ষ আদালত, তা মেনেই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।