উদ্ধার করেও বাঁচানো গেল না উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল অসুস্থ আরও ৩ শিশুর। এর ফলে এখনও পর্যন্ত 🥂এই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে হল ১৫। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, আগুনের কারণে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়নি। অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝাঁসি হাসপাতালের অগ্ন👍িকাণ্ড ‘দুর্ঘটনা’, বলছে তদন্তকারী প্যানেল- Report
১৫ নভেম্বর রাতে হাসপাতালের এনআইসিইউ ওয়ার্ডে ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। ওই ওয়ার্ডে সেই সময় ছিল ৪৯টি শিশু। তাদের মধ্যে ৩৯ জনকে উদ্ধার করা গেলেও ১০ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুর মধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ নরেন্দ্র সিং সেঙ্গার জানিয়েছেন। এরফলে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে। এখনও আরও দুজন শিশু গুরুতর অসুস্থ রয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, তাদের মধ্য❀ে একজনের ওজন জন্মের সময় ৮০০ গ্রাম ছিল। আর অন্য শিশুটির হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র রয়েছে। 🧸সেঙ্গার আরও বলেন, তিন শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কোনও যোগ নেই। তাদের শরীরে পোড়া আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। শরীরে ধোঁয়ার কোনও প্রভাব ছিল না। এই শিশুরা মারা গিয়েছে অসুস্থতার কারণে।উল্লেখ্য, শুক্রবার মেডিক্যাল কলেজের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যুর পাশাপাশি ১৬ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
জেলাশাসক অবিনাশ কুমার জানিয়েছিলেন, শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগার ঘটনা।এছাড়াও, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, যে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার পূরণের তারিখ ছিল ২০১৯ এবং মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২০ সালে। ওই ওয়ার্ডে আগুন নেভানোর জন্য ছাদ থেকে স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা ছিল না। ঘটনার সময় ওই ওয়ার্ডে দু’জন মহিলা চিকিৎসক ছাড়াও ৬ জন নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন। আগুন নেভাতে গিয়ে এক নার্সের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। তাঁর পায়ের কিছুটা অংশ দগ্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগুন নেভাতে দু ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। দেখা গিয়েছে, যে ওয়ার্ডে নবজাতকদের রাখা হয়েছিল সেখানে যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃত শিশ🍃ুদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষ🦂তিপূরণ ঘোষণা করেছেন।