আবারও সেতু বিপর্যয় প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে। ভ𒁏েঙে পড়ল আরও একটি সেতু। এরফলে এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যটিতে এই ধরনের তিনটি ঘটনা ঘটল। রবিবার বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার মতিহারির ঘোড়াসাহন ব্লকে নির্মীয়মান ছোট এই সেতু আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তবে এদিনের সেতু বিপর্যয়ে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিহারের সেতু ভেঙে পড়ায় দায় কার? স্পষ্ট ক📖রলেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন ⛦গডকড়ি
রাজ্যটিতে বারবার যেভাবে সেতু ভেঙে পড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এদিন ভেঙে পড়া সেতুটির দৈর্ঘ্য খুব বেশি নয়, মাত্র ১৬ মিটার। রাজ্যের গ্রামীণ পূর্ত দফতরের তরফে আমওয়া গ্রামকে ব্লকের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। এর জন্য দেড় কোটি টাকা খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কী কারণে নির্মীয়মাণ সেতুর ভেঙে পড়ল? তা জানার জন্য বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কারও কোনও গ✤াফিলতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ পূর্ত দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচি🎶ব দীপক কুমার সিং।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করার পর এবিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। এ বিষয়ে জেলাশাসক সৌরভ জোরওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে স্থানীয়দের একাংশ প্রাথমিকভাবে সেতুর নির্দিষ্ট পিলার নির্মাণে আপত্ত🐟ি জানিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার সিওয়ান জেলায় আরও এক💦টি ছোট সেতু ভেঙে পড়েছিল। সেই সেতুটি একটি খালের উপর নির্মাণ করা হচ্ছিল। যা দারুণ্ডা এবং মহারাজগঞ্জের ব্লকের গ্রামগুলিকে যুক্ত করার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই সেতুটি নির্মাণের জন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছিল। তার আগে মঙ্গলবার আরারিয়া জেলায় প্রায় ১৮০ মিটার দীর্ঘ একটি নবনির্মিত একটি সেটি ভেঙে পড়েছিল। যদিও তিনটি ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন উঠেছে কাজের মান নিয়ে। সেখানে অনেকেই বড়সর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও।