প্রচুর বিনিয়োগ, নীতি নির্ধারণ এবং একাধিক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সত্ত্বেও ক্রমেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিহারের এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স। পাটনা, গয়া, মুজফ্ফরপুরের মতো বড় শহরগুলির গড় এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স গত বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই খারাপ। যদিও গতবছর এই সময়টাতে লকডাউন চলছিল সেখানে। তবে এই বাড়তে থ𒁏াকা বায়ু দূষণের কারণে মাথায় হাত পড়েছে বিহারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ১ থেকে ৮ জুন সময়কালে পাটনার এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ৯২.২৫ কিউবিক মিটার প্রতি মাইক্রোগ্রাম। গতবছর লকডাউনের সময় ১ থেকে ৮ জুন পাটনার এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্𓄧স ছিল ৮৫.৭৫ কিউবিক মিটার প্রতি মাইক্রোগ্রাম। উল্লেখ্য, এয়ার ইনডেক্স কোয়ালিটির অনুমোদিত 🅺সীমা ৬০ কিউবিক মিটার প্রতি মাইক্রোগ্রাম।
এদিকে গয়া ꩵএবং মুজফ্ফরপুরের এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স যথাক্রমে ৬১ এবং ১০০.৬২ কিউবিক মিটার প্রতি মাইক্রোগ্রাম। গতবছর এই সময়কালেই গয়া এবং মুজফ্ফরপুরের এয়ার কোয়াল📖িটি ইন্ডেক্স যথাক্রমে ছিল ৫৮.৫৭ এবং ৬৮.৫৭ কিউবিক মিটার প্রতি মাইক্রোগ্রাম।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স উন্নতির জন্য রাষ্ট্রসংঘের ডেলেভপমেন্ট প্রোগ্রাম, রাষ্ট্রসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম, ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ গ্রুপ, এশিয়ান ডেভেলেপমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতো বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল রাজ্যের পরিবেশ এবং বন দফতর, বিহারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। এমনকি ✅আইআইটি দিল্লির সঙ্গে এই সংক্রান্ত চুক্তি করে বিহারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি। বরং চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর হয়ে পড়ছে কর্🌠তৃপক্ষের কপালে।
এই বিষয়ে বিহারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রধান অশোক ঘোষ বলেন, 'আমরা 'ক্লিন এয়ার অ্যাকশন প্ল্যান'-এর লক্ষ্যে পৌঁছতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন সরকারি দফতরের সমন্ময়তেই বিষয়টি সম্ভব হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেই কাজ পিছিয়ে গিয়েছে।' এদিকে রাজ্যের পরিবেশ এবং বন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দীপক কুমার সিং বলেন, 'ধূলি কণা♔র জন্যেই আমাদের রাজ্যে এই সমস্যা। নির্মাণ কাজের জন্য এই সমস্যা আরও বাড়ছে।'