গ্রেফতারির পর প্রথম রাতটা একটি স্কুলে কাটালেন রিপালবিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামী। যা আলিবাগ জেলের নির্ধারিত কোভিড-১৯ কেন্দ্র।তারইমধ্যে ২০১৮ সালের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ‘অবৈধ গ্রেফতারি’-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন অর্ণব। আলিবাগ পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছেন, তা খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত স্থগিত রাখার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ জারির আর্জির পাশাপাশি অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন ৪৭ বছরের অর্ণব। বৃহস্পতিবার দুপুর-বিকেল নাগাদ বিচারপতি এস এস শিন্দে এবং বিচারপতি এম এস কর্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই পিটিশন শোনা হবে।পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া মামলায় ভুয়ো এবং অবৈধভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবেদনকারী এবং তাঁর চ্যানেলের বিরুদ্ধে এটা রাজনৈতিক নিশানা এবং প্রতিশোধের একটি উপায়।’ তাতে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্লজ্জভাবে আবেদনকারীর (অর্ণব) ব্যক্তিগত জীবনের মৌলিক অধিকার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং মর্যাদা লঙ্ঘন করা হয়েছে। আবেদনকারী এবং তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করা হয়েছে এবং গ্রেফতারির পর অর্ণবকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’২০১৮ সালে ৫৩ বছরের ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মা কুমুদ নায়েকের আত্মহত্যার ঘটনায় অর্ণব, ফিরোজ শেখ এবং নীতেশ সারদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তবে গত বছর সেই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, যে তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও প্রমাণ মেলেনি। পরে আলিবাগ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অন্বয়ের মেয়ে আদনিয়া। তারপর চলতি বছরের মে'তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অন্বয় ও তাঁর মা'র মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু হবে।অর্ণবের আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা তথ্য সাজানো এবং জোর করে আবেদনকারীকে গ্রেফতারের জন্য’ যে মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা আবারও খোলা হয়েছে। যা প্রাথমিকভাবে তাঁর খবরের জন্য 'প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসার' কাজ মনে হচ্ছে। যেখানে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা লোকজনদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।