কয়েকদিন আগেই সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সংখ্যালঘ🅷ু বিচারপতি নিয়োগ করা হচ্ছে না বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন মিম প্রধান তথা সংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। আর এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইবি’ এবং ‘র’ থেকে বেছে বেছে মুসলিম আইপিএস অফিসারদের সরিয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার মুসলিমদের উপর বিশ্বাস করছে না। তাই এই সমস্ত এজেন্সি থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা একেবারেই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন: পাক আইন আপনার অনুপ্রಌেরণা? তিন-তালাক ইস্যুতে মোদীকে নিশানা ওয়াইসির
আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অভিযোগ, ‘ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম হয়তো ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে সিনিয়র পদে কোনও মুসলিম অফিসার থাকবে না।’ এ নিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি মুসলিমদের সন্দেহের চোখে দেখে। তাই ‘আইবি’ এবং ‘র’–এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এজেন্সি থেকে মুসলিমদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন এই সমস্ত এজেন্সিগুলি শুধুমাত্র সংখ্যাগুরুদের কর্মস্থলে পরিণত হয়েছে। মুসলিমদের শুধুমা😼ত্র সন্দেহ করা হয়। কখনও তাদের নাগরিক হিসেবে দেখা হয় না।’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটারে একটি সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন পোস্ট করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রথম আইবিতে কোনও সিনিয়র অফিসার পদে মুসলিম আইপিএস নেই। এর আগে এই এজেন্সিতে আইপিএস অফিসার ছিলেন এসএ রিজভী। তিনি স্পেশাল ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরে রয়েছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আইবিতে মুসলিম আইপিএস অফিসারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগের সরকারের আমলে এই এজেন্সিগুলিতে মুসলিম অফিসাররা সিনিয়র পদে থাকলেও বর্তমান সরকারের আমলে তা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। এর আগে আসিফ ইব্রাহিম আইবির ডিরেক্টর পদে ছিলেন। অসম ক্যাডারের আইপিএস অফিসার রফিউল আলমও এজেন্সির উচ্চপদে💝 ছিলেন। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার এসএ রিজভীকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আইবির উচ্চ পদে বসানোর অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু আচমকা তাঁকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবেলার স্পেশাল ডিরেক্টর পদে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর কাজের মেয়াদ রয়েছে। তবে আইবꦛি থেকে কেন একজন মুসলিম আইপিএস অফিসারকে বদলি করা হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওআইসি।