দেশের শিক্ষা মানচিত্রে একেবারে চমকে দেওয়া তথ্য। দিন ফিরছে সরকারি স্কুলে। অতিমারি পরিস্থিতিতে একেবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পড়ুয়া বেসরকারি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে চলে এসেছে। বুধবার Educational Report (ASER) সমীক্ষায় এই তথ্য় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বহু অভিভাবক অতিমারি পরিস্থিতির জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। বেসরকারি স্কুলের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি অনেকের। অন্যদিকে সরকারি স্কুলে পড়ার ক্ষেত্রে খরচ সেভাবে নেই বললেই চলে। এর পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে অনেকেই নিজের এলাকায় ফিরে এসেছেন। তাঁরাও নিজের এলাকায় ফিরে সন্তানদের সরকারি স্কুলে ভর্তির চেষ্টা করেছেন। মূলত ফোনে ফোনে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। দেশ জুড়ে ৫৮১টি জেলায় চলেছে এই সমীক্ষা। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই সমীক্ষা করা হয়। প্রায় ৭৬ হাজার ৭০৬টি বাড়িতে এই সমীক্ষা হয়েছে। ৫-১৬ বছর বয়সী ৭৫ হাজার ২৩৪জন ছাত্রছাত্রী ও ৭ হাজার ৩০০ জন সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও স্টাফেদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। ২০১৮ থেকে ২০২০ ও ২০২১ সালে কত শতাংশ পড়ুয়া সরকারি স্কুলে নাম নথিভুক্ত করেছে সেটাও দেখা হয়েছে এই সমীক্ষার মাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ ও ২০২০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৬৪.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছিল ৬৫.৮ শতাংশ। আর ২০২১ সালে সেই সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০.৩ শতাংশ। অর্থ্যাৎ গোটা দেশজুড়ে সরকারি স্কুলে নাম নথিভুক্তির শতাংশ একধাক্কায় ৪.৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। আর পুরোটাই হয়েছে অতিমারি পরিস্থিতির জন্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে সরকারি স্কুলের দিকে এতদিন ফিরেও তাকাতেন না অনেকে, অতিমারিতে খরচ কমাতে সেই সরকারি স্কুলের দিকেই ঝুঁকেছেন অনেকেই। এমনকী ২০১৮ থেকে ২০২১ সরকারি স্কুলে নথিভুক্তি প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিক বেসরকারি স্কুলে নাম নথিভুক্তিও দফায় দফায় কমেছে।