বালাসোরে রেল দুর্ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। এর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালেই সেখানে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গতকাল সকাল সাতটার পর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। গতকাল ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল দেখে আসেন। সেই সময় তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন অশ্বিনী। তাছাড়া বাকি দিন বিভিন্ন সময়ে রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে কাজের তদারকি করেছেন। কখনও নিজেই ধ্বংসস্তূপে ঢুকে গিয়েছেন। ভাঙা কামরার চাকার নীচে দিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ বের কররা চেষ্টা করেছেন। এরই মাঝে উঠেছে তাঁর পদত্যাগের দাবি। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি নেতারা অশ্বিনীর বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে তাঁꦫর সমর্থনে সুর চড়াচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে সেই সব ছবি। তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতা অমর প্রসাদ রেড্ডি, বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রাণের ছেলে তথা বিজেপি বিধায়ক নীতীশ রাণে টুইট করেছেন অশ্বিনীর ছবি ও ভিডিয়ো।
এদিকে আজ রেলমন্ত্রী বলেন, 'এই দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমরা আজ ট্র্যাক মেরামতি করার চেষ্টা করব। সব লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হল বুধবার সকালের মধ্যে লাইন মেরাম🐲তির কাজ শেষ করা। যাত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ট্র্যাকে যাতে ফের ট্রেন চলতে শুরু করতে পারে, সেদিকেই এখন আমাদের নজর।' এদিকে দুর্ঘটনার তদন্ত নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার বিষয়টির তদন্ত করেছেন এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই এসেছে। আমরা ঘটনার কারণ এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেছি... ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস লাইন মেরামতির দিকে।’
এদিকে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন, রেললাইনে কবজ সিস্টেম বসানো থাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। আজ এরও জবাব দিয়েছেন অশ্বিনী। তিনি বলেন, 'এই দুর্ঘটনার সঙ্গে কবচের কোনও সম্পর্ক নেই। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কারণ বলেছেন, সেটা মোটেও আসল বিষয় নয়। উনি যেমন বুঝেছেন, সেরকম বলেছেন। তবে এটা একটি আলাদা বিষয়। পয়েন্ট মেশিন এবং ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সংক্রান্ত বিষয়। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের সময় যে পরিবর্তন হয়েছিল, সেটার কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। কে সেই কাজটা করেছে এবং কীভাবে সেই ☂কাজটা হয়েছে, তা বের করতে উপযুক্ত তদন্ত চলছে।'