সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কের ফটোজোনে একটি বিশাল আকার বাঘ দেখা গিয়েছে, যা হতবাক করেছে পর্যটক থেকে শুরু করে বন বিভাগের আধিকারিকদের। এই বাঘকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। বিশাল আকারের জন্য এই বাঘের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হারকিউলিস’। এর আগে এ꧅ই জাতীয় উদ্যানে কোনওদিন এত বড় বাঘ দেখা যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এই বাঘকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে বেড়েছে পর্যটকদের আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগে প্রাণ গিয়েছিল বღাঘের হানায়, এত দিনে মিলবে ক্ষ🎶তিপূরণ! রায় দিল হাইকোর্ট
উত্তরাখণ্ডের রামনগর অঞ্চলে সম্প্রত💎ি পর্যটকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিশালাকার এই বাঘ। প্রাথমিকভাবে🉐 বন বিভাগের আধিকারিকদের অনুমান, এই বাঘটির ওজন প্রায় ৩০০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ ফুট। এত বিশালাকারের জন্য অনেকেই মনে করছেন, এটিই হল এশিয়ার সবচেয়ে বড় বাঘ।
বিশাল এই বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা প্রকাশ আর্য। শুধু তাই নয়, এই বাঘ দেখে তিনি বিস্ম🗹িত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ারে এত বিশাল বাঘ কখনও দেখিনি।’ দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ🐎্রেসকে তিনি আরও বলেন, ‘এটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য এবং এই বনাঞ্চলে আমাদের ব্যবস্থাপনা প্রচেষ্টার সাফল্যের একটি স্পষ্ট প্রতীক।’ তিনি জানান, বাঘটি অন্যান্য বাঘের থেকে অনেক বড়। এই অঞ্চলে এর আগে কখনও এত বড় আকারের বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এরপরেই বন বিভাগ নজরদারি বাড়িয়েছে। বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে এবং আকর্ষণীয় প্রাণীটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য অঞ্চল জুড়ে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এমনকী স্থানীয় গাইডরাও যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় আসছেন তাঁরাও বাঘের বিশাল আকার দেখে অবাক হয়েছেন।
উচ্চ মাধ্য꧋মিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
একজন গাইডের কথায়, ‘আমরা এখানে অনেক বাঘ দেখেছি, কিন্তু হারকিউলিস-এর সঙ্গে তুলনা করার মতো কোনও বাঘ নেই। অবিশ্বাস্যভাবে বাঘটি বিশাল আকারের।’ ব🐷িশাল আকৃতির এই বাঘটিকে এক ঝলক দেখতে পেয়ে পর্যটকদের অনেকেই এই অভিজ্ঞতাকে অসাধারণ বলে উল্লেখ করেছেন। দিল্লি থেকে আসা একজন পর্যটক বলেন, ‘হারকিউলিস যদি সত্যিই এশিয়ার বৃহত্তম বাঘ হয় তাহলে উত্তরাখণ্ডকে মানচিত্রে একটি বিশেষ স্থান দেবে।’