ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্কালে সম্প্রতি রাজ্যে এসে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহান অঞ্চলের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরফলে জনসংখ্যায় বড়সড় পরিবর্তন হচ্ছে। উপজাতী জনসংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এর জন্য তিনি ঝাড়খণ্ডের বর্তমান রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন। এবার ঝাড়খণ্ডের জনসংখ্যার সমস্যা উল্লেখ করে এনআরসি করা হবে বলে বার্তা দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নির্বাচনী ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশীদের🔯 নিয়ে ভোটের বাজার গরম করেছেন অমিত শাহ। তার মধ্যেই এল এই নয়া দাবি।
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঝাড়খণ্ডের জনসংখ্যার সমস্যার কথা উল্লেখ করে হিমন্ত শর্মা বলেছেন, ‘এনআরসি করা হবে। যাদের নাম এনআরসিতে থাকবে না আমরা তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব।’শুক্রবার হ🦹াজারীবাগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘এটি হবে আমাদের নীতি। এনআরসি হয়ে গেলে প্রত্যেকেই🔯 তাদের পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন। এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালীন কর্তৃপক্ষ সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং যদি কেউ প্রমাণ করতে না পারেন যে তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক তবে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনি পথেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব।’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যে অসমে এক দফা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাতে ১৪ লক্ষ মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে।তিনি।জℱানান, সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তা সংশোধন করা যায়। যদি সুপ্রিম কোর্ট থেকে দ্বিতীয় সংশোধনের অনুমতি দেয়, তাহলে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঝাড়খণ্ডের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহান অঞ্চলের জনসংখ্যার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও অভিযোগ তোলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে। তিনি বলেছিলেন, রাজ্য সরকার তোষণের রাজনীতি করছে। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে স্থানীয় মানুষরা সমস্যায় পড়ছেন। অনুপ্রবেশকারীরা পঞ্চায়েতগুলিতে জায়গা দখল করে নিচ্ছে, জমি দখল করছে, নৃশংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। রাজ্যের বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। প্রধানমন্ত্রী জেএমএম, আরজেডি এবং কংগ্রেসকে ঝাড়খণ্ডের মানুষের ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসাবে চিহ্নিত কর💯েন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তারা ক্ষমতার লোভে ঝাড়খণ্ডের মানুষের ক্ষতি করছেন। তারপরেই হিমন্তের এমন মন্তব্য সামনে এল।