অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও গুরুতর হচ্ছে দিনকে দিন। অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অসম। পরিস্থিতি এমনই, যমুনামুখ জেলার দুটি গ্রামের ৫০০টিরও বেশি পরিবারকে রেললাইনে বসবাস করতে হয়েছে। এই গোটা 💖এলাকায় এক এই রেলপথ ছাড়া বাকি সব জলের তলায় চলে গিয়েছে। এর জেরে বা🅠ধ্য হয়েই সাধারণ মানুষকে রেল লাইনে বসবাস শুরু করতে হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে পটিয়া পাথর গ্রামের বাসিন্দারা বন্যায় প্রায় সবকিছু হারিয়েছেন এবং কাছাকাছি অস্থায়ী ছআউনির নিচে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, তারা জেলা প্রশাসন, রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পাননি।
অসমের এই বন্যায় মোট ২৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরি🐓টির (এএসডিএমএ) একটি বুলেটিন অনুসারে, রাজ্যের ৮৪টি রাজস্ব সার্কেলের ২২৫১টি গ্রাম বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে। ৮০ হাজার হেক্টর জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে আট লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদিকে বন্যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়েছে অসমে।
সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী ২১ হাজার ৮৮৪ জনকে বন্🍨যা কবলিত এলাকা থেকে নৌক🉐া ও হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ৮৬ হাজার ৭৭২ জনকে ৩৪৩টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৪১১টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও চালু রয়েছে।