পুরোপুরি বিধিনিষেধ প্রত্যাহ🌳ার করা হল না। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভিত্তিতে কয়েকটি জেলায় বেশ কিছু ছাড় দিল অসম সরকার। কয়েকটি জায়গায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কার্ফুর সময়সীমা। তবে আন্তঃজেলা চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকছে। আবার যে জেলাগুলিতে সংক্রমণ বেশি, এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও কড়া বিধিনিষেধের সতর্কতাবাণী দেওয়া হয়েছে।
আপাতত ১৬ জুন ভোর পাঁচটা থেকে ২২ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মোꩵহান্ত জানান, যে শহরাঞ্চলে সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি এবং যে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন হিস🐷েবে ঘোষণা করা হবে। সেখানে শুধু জরুরি পরিষেবায় ছাড় মিলবে। এতদিন শহরাঞ্চল বা গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ পার করলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করতে পারত জেলা প্রশাসন।
তার🦹ইমধ্যে করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় কামরূপ (মেট্রোপলিটন) জেলায় কার্ফুর সময়সীমা এক ঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতদিন দুপুর একটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্ফু থাকত। সেজন্য বেলা ১২ টার মধ্যে যাবতীয় দোকান বন্ধ করতে হত। এবার দুপুর দুটো থেকে কার্যকর হবে কার্ফু। তার ফলে দুপুর একটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখꦜা যাবে। দক্ষিণ সালমারা, মাজুলি, বঙ্গাইগাঁ, চিরাঙ্গ, উদলগিলি, ডিমা হাসাওয়ের মতো যে জেলাগুলিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০-এর নীচে থাকছে, সেখানে বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্ফু চলবে।
যদিও কাছার, তিনসুকিয়া, ডিব্রগড়, নওগাঁওয়ের মতো যে জেলাগুলিতে গত কয়েকদিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা🗹 বাড়ছে, সেখানে কড়া বিধিনিষেধ চলবে। সেখানে আরও দ্রুত টিকাকরণের লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২১ জুন পর্যন্ত সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি দেখা হবে। যদি সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী না হয়, তাহলে সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে। অন্যান্য জেলাগুলিতে দুপুর একটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কা🔜র্ফু কার্যকর হবে।