বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্ত এবং নীরজ চৌহান
সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। তারপরও এখনও উত্তপ্ত হয়ে আছে অসম-মিজোরাম সীমান্ত। তারইমধ্যে আগামিকাল (বুধবার) বৈঠক ডেকেছে কেন্🅠দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, বৈঠকে অসম ও মিজোরামের মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি-সহ দুই রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। সম্ভবত থাকবেন আধা-সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরাও।
সেই বৈঠকের আগেও অসম এবং মিজোরামের মধ্যে দোষারোপের পালা চলছে। মঙ্গলবার শিলচর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘মিজোরাম গতকাল যা করেছে, আমরা তা করতে পারব না। আমরা কখনও ভারতীয়দের বিরুদ্ধে গুলি ব্যবহার করব না। ওটা আমাদের ডিএনএতে নেই। মিজোরামের সঙ্গে আম♒াদের কোনও রাজনৈতিক লড়াই নেই। কিন্তু গতকালের পিছনে কারণ আছে।’ সেই কারণ ব্যাখ্যাও করেন হিমন্ত। তিনি দাবি করেন, গত কয়েক মাসে মিজোরাম থেকে অনুপ্রবেশ এবং গবাদি পশু পাচার রুখে দিয়েছে অসম। মায়ানমার থেকে যাঁরা মিজোরামে ঢোকেন, তাঁরা অসমে ডিমা হাসাও জেলায় থাকতে চান। তাঁদেরও অসমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন হিমন্ত।
যদিও অসমের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মিজো𒆙রাম। পালটা মিজোরামের তরফে দাবি 😼করা হয়েছে, অসম পুলিশই মিজোরামের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে গুলি চালিয়েছে। তার পালটা জবাব দিয়েছে মিজোরাম পুলিশ। মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালছামলিয়ানা বলেন, ‘অসম পুলিশ মিজোরামে ঢুকে আমাদের লোকজনকে হেনস্থা করতে থাকে। কোনওরকমের হিংসা দুর্ভাগ্যজনক এবং আমরা মৃতদের পরিবারের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এমনিতে অসম-মিজোরামের সীমান্ত বিবাদ নতুন কোনও বিষয় নয়। দীর্ঘদিন ধরে তা চলে আসছে। মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তারইমধ্যে সোমবার কাছার জেলার লায়লাপুরের কাছে সীমান্ত রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে। ছোড়া হতে থাকে পাথর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। এয়ারগান থেকে ছোড়া হয় গুলি। স্থানীয়দের দাবি, সকালে নিজেদের রাজ্যের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল অসম পুলিশ। সেই ঘটনাকে ঘিরে ১১ টা ৩০ মিনিটে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। জড়ো হয়ে যান হাজার-হাজার মানুষ। অসম এবং মিজ🎃োরাম পুলিশের মধ্যে আলোচনার সময় মিজোরামের একদল লোক পাথর🦋 ছুড়তে শুরু করেন। পালটা পাথর ছোড়েন অসমের একদল ব্যক্তিও। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা তো দূর অস্ত, রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অভিযোগ, বিকেল ৩ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ মিজোরামের দিক থেকে টিয়ার গ্যাসর শেল এবং এয়ারগানের গুলি ছোড়া হয়। মৃত্যু অসম পুলিশের ছয় জওয়ানের।