বাবরি মসজিদের নীচে ঠিক কী পাওয়া গিয়েছিল? অযোধ্য়াꦿয় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সামনে এল সেই প্রশ্ন। সেই সময় এএসআই এক আ👍ধিকারিক কেকে মহম্মদের কথায় জানা যাক ফেলে আসা সেই ইতিহাসের কথা।
সালটা ছিল ১৯৭৬-৭৭। সেই সময় শিক্ষানবীশ ছিলেন কেকে মহম্মদ। সোমবার রামমন্দিরের অনুষ্ঠানে আমন্ত্ꦺরিত ছিলেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়েছেন, প্রথম যখন খনন করা হয়েছিল তখনই দেখা গিয়েছিল বাবরি মসজ🍨িদের তলায় রয়েছে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। নিজের অবস্থানে আজও অবিচল তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, আমরা সেই সময় ১২টি পিলার দেখেছিলাম। একটা পিলার দেখ🍸ে মনে হয়েছিল এখানে মন্দির ছিল। একটা পিলারের নীচের দিকে একটা পূর্ণ কলস ছিল। এটা হিন্দু ধর্মে সমৃদ্ধির প্রতীক। অষ্টমঙ্গল চিহ্নও ছিল। হিন্দু ভবনে এটা খুব দেখা যায়। ১২শ শতকে এটা খুব দেখা যেত।
তিনি জানিয়েছেন, মুসলিমদের কাছে মক্কা আর মদিনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি অযোধ্যা হিন্দুদের কাছে। তিꦍনি জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে নানা ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তবুও তিনি তাঁর অবস্থানে অনড় ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছিল। গোয়াতে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও তিনি তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি।
প্রফেসর বিআর মণির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার যে খনন করা হয়েছিল একের পর এক পি🔯লার, টেরাকোটার মূর্তি বেরিয়ে আসতে থাকে। বোঝা যাচ্ছিল এর নীচে মন্দির রয়েছে। তিনি বলেন, আমার কাজে আমিই একমাত্র মুসলিম ছিলাম। কিন্তু মণির খনন কাজে এক চতুর্থাংশ শ্রমিক ছিলেন মুসলিম ধর্মের, যাতে কোনও পক্ষপাতিত্ব না করা হয়। সবটা ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যি ক্রমশ প্রকাশিত হয়।
রামমন্দির তৈরির পেছনে রয়েছে একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস। দীর্ঘ আইনি লড়াই। দীর্ঘ প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক উত্থান পতন। অꦗশান্তি গন্ডগোল কম কিছু হয়নি। বলা হচ্ছে প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই দিনটার জন্য় অপেক্ষা করছিলেন ভারতবাসী। সেই ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠায় হাজির থাকলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।