চটজলদি রামমন𒀰্দির উদ্বোধন করা হলেও নির্মাণ কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। মন্দির চত্বর আকর্ষণীয় করে তুলতে দেদার খরচও করছে কর্তৃপক্ষ♛। তবে তা কেটে গিয়েছে অন্য জায়গায়। রামমন্দিরকে ঘিরে বিরাট আড়ম্বর করা হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে দেদার চুরি নিয়ে। এবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার আলো চুরি গেল অযোধ্যার ভক্তিপথ থেকে। ফলে আঁধার নেমে এসেছে রামমন্দিরে। মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার পরে এবার আলো চুরির ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে অযোধ্যার রামপথের দু’পাশের গাছে টাঙানো ৩৮০০টি বাঁশের আলো এবং ভক্তিপথের দু’ধারে ৩৬ গোবো প্রোজেকশন আলো উধাও হয়েছে বলে খ🅰বর। এই সব আলোগুলি মিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। যা কার্যত জলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেই বাতিস্তম্ভের ৩ হাজার ৮৩৬টি আলো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বোঝা যাচ্ছে না। রাম পথের পাশাপাশি ভক্তিপথ থেকে চুরি হয়েছে গোবো প্রজেক্টর। সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি অত্যাধুনিক আলোর সামগ্রী চুরি গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে ৬টি বিষয়ের উপর তদন্ত💞 করছে সিবিআই, রহস্য কোথায়?
অন্যদিকে এই রামমন্দিরকে ঘিরে ৬৪০০ বাঁশের আলো রামপথে এবং ৯৬ গোবো প্রজেক্টর লাইট ভক্তিপথে লাগানো হয়েছিল। অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথ🦋রিটি এই লাইট ও প্রজেক্টর লাগানোর বরাত দিয়েছিল যশ এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষ্ণা অটোমোবাইলকে। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে রামপথে ৬৪০০টি বাঁশের কারুকাজ করা লাইট এবং ভক্তি পথে ৯৬টি গোবো প্রজেক্টর লাগিয়েছিল। তবে সেগুলি চুরি হয়ে যাওয়ায় চিন্তিত মন্দির কর্তৃপক্ষ। অযোধ্যায় ২.৭ একর জমির উপর রয়েছে রামমন্দির। ১৮০০ ক📖োটি টাকার খরচ হয়েছে মন্দির গড়তে। এই মন্দির তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়নি কোনও ইস্পাত বা লোহা। নির্মাণশৈলীর উপরে ভর করে রয়েছে এই রামমন্দির। প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেল ঘটেছে।
এছাড়া রামমন্দিরে আলো চুরি কারা করল? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে যশ এন্টারপ্রাইজ ও কৃষ্ণা অটোমোবাইলসের প্রতিনিধি শেখর শর্মা বলেন, ‘আলো উ🌌ধাও হয়ে গিয়েছে এবং সেই অভিযোগ থানায় নথিভুক্তও করা হয়েছে। ৯ অগস্ট এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৬৪০০ ব্যাম্বু লাইট এবং ৯৬ গোবো প্রজেক্টর আলো রামপথে ও ভক্তিপথে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যথাস্থানে দেখা গিয়েছে। তবে ৯ মে’র পরে প্রথম দেখা যায় যে, কিছু আলো যেন উধাও। অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তিরা এগুলি চুরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।’