বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে পতন। বর্তমানে তা ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছে। এটি দিয়ে মাত্র পাঁচ মাস আমদানি করা যাবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইতে বাধ্য হচ্ছে। ডেইলি স্টার সূত্রে মিলেছে এই খবর।বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রক এবং আইএমএফ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে অর্থ মন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক এ বিষয়ে 'আলোচনা'র কথা স্বীকার করেছেন।বাংলাদেশের নাম না করে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে অলিভিয়ার গৌরিঞ্চাস মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, 'অনেক দেশ আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যাঙ্কের কাছে আসছে। তারা সদস্যদের সাহায্য করার উপায়গুলি খতিয়ে দেখছে।'বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাফরেক্স রিজার্ভসবাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ জুলাই অনুযায়ী ৩৯.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এটি আগামী মাত্র ৫.৩ মাসের আমদানি সামাল দিতে পারবে।তুলনাস্বরূপ, এক বছর আগে এটি ৪৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।পতনশীল মুদ্রাপ্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের রেমিটেন্স আসার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এর পাশাপাশি আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ক্রমেই বাংলাদেশি টাকার দর পড়ছে।গত বছরের জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় চলতি বছর, প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগও ১৮.৬৫% হ্রাস পেয়েছে।মুদ্রাস্ফীতিফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে বিশ্বজুড়েই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আর তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বিশেষত খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে জুন মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি, গত ৮ বছরের সর্বোচ্চ, ৭.৫৬%-এ পৌঁছেছে। আমদানিতে নিষেধাজ্ঞাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজির বহিঃপ্রবাহ রোধে সিডান গাড়ি, স্বর্ণালঙ্কার এবং বিলাসবহুল পণ্য, এলএনজি-সহ জ্বালানী আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।