বাংলাদেশের উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলির পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে হবে। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি চলার জেরে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছিল। কোটা বিরোধী আন্দোলনে তপ্ত হয়ে উঠেছিল গ🍬োটা পদ্মাপার। আর তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দু’সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। আজ, মঙ্গলবার বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এই কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে। সেখানে উদাহরণ তুলে বলা হয়েছে, আগে যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো সেখানে এখন চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। তবে পূর্ণ সময়ই থাকছে। এই তথ্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি চাকরিতে কোটা চালু করার বিরুদ্ধে আন্দোলন নেমে পড়ে ছাত্র–যুবরা। তার জেরে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমতুল্যের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। প্রথমে ১৮ জুলাই তারিখের পরীক্ষা স্থগিত হয়। তারপর ২১, ২৩ এবং ২৫ জুলাই তারিখের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এই পরিস্থিতির 🦩মধ্যে ২৮ জুলাই থেকে ১ অগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এমনকী ১১ অগস্ট যে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে খবর, এই আন্দোলনের জেরে নানা এলাকার থানায় হামলা হয়। তার জেরে সেখানে রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ঠিক হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ–খুনের রাতে চারবার ঢোকে সঞ্জয়, নয়া তথ্য পেল সিবিআই
কিন্তু এবার সেই তারিখ থেকেও পরীক্ষা দু’সপ্তাহ পিছিয়ে যাব🅰ে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে আরও বিপাকে পড়ল পড়ুয়ারা। কারণ সেক্ষেত্রে কবে পরীক্ষা হবে তার নির্দিষ্ট তারিখ জানা যায়নি। পরীক্ষার্থীরা সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করেন। তাঁদের দাবি, দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছ তাতে পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থা নেই। পড়ুয়ারা বিক্ষোভও দেখান। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা চান, যে কটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হোক। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতেই ইতিবাচক আশ্বাস দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ মহম্মদ আবুল বাশার বলে খবর।